পরিকল্পনা মন্ত্রী বললেন -এ বছর চালের দাম বাড়বে না
নিজস্ব প্রতিবেদক : এ বছর চালের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, দেশে চালের চাহিদার চেয়ে মজুদ বেশি আছে। ভালো ফসল হয়েছে। তাছাড়া আমরা পর্যাপ্ত চাল মজুদও করেছি।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের পরবর্তী বৈঠকের পর বিবিএস-এর মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এসময় তিনি একথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘হাওড়ে বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়েছিল। আমরা এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। এবার আমরা প্রস্তুত। আমরা পর্যাপ্ত চাল মজুদ রেখেছি। আমাদের চাল আমদানি করতে হবে না।’
এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না। আগামী দুই মাসে বরং পণ্যের দাম কমবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। এক মাসের ব্যবধানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ কমেছে। মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ, এপ্রিলে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।এ ছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য প্রকাশ করে বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে দেশের মূল্যস্ফীতি কমেছে। এটা ভালো লক্ষণ। দেশীয় উৎপাদিত পণ্য ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কম থাকায় দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। আগামী দুই মাসে মূল্যস্ফীতির হার আরও কমবে বলে আশা করছি।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যে দেখা যায়- গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি মার্চের তুলনায় এপ্রিলে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি মার্চের তুলনায় এপ্রিলে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।