adv
৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যু পরোয়ানা পাঠ করে শােনানাে হল মুফতি হান্নানকে, রিভিউ করবেন

HANANনিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের মৃত্যু পরোয়ানা ও রায়ের কপি গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। কারাগারে বন্দি মুফতি হান্নানকে ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু পরোয়ানা ও আপিল মামলার রায় পাঠ করে শুনিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, তার আইনজীবীর মাধ্যমে জেনেছেন ওই রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নান রিভিউ করবেন। যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আপিল বিভাগের রায়টি প্রথমে যায় হাইকোর্টে। হাইকোর্ট হয়ে রায়টি পাঠানো হয় বিচারিক আদালতে। বিচারিক আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর তা কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নানকে পড়ে শোনানো হয়।

কারাসূত্রে জানা গেছে, ১৭ জানুয়ারি আপিল বিভাগের ৬৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনা করতে হবে আসামি পক্ষকে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর দণ্ডাদেশ কার্যকরের ক্ষেত্রে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন এবং সর্বশেষ দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন আসামিরা। রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিলেই দণ্ডাদেশ কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না। তবে রাষ্ট্র চাইলে দণ্ডাদেশ কার্যকরের প্রস্তুতি নিতে পারে। আসামিরা যদি রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে তবে তাও শুনানির ব্যবস্থা আইনে রয়েছে।
গত ৭ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন।
এ মামলার বাকি দুই আসামি মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আপিল না করায় তাদের ওই সাজাই বহাল থাকে। দণ্ডিত পাঁচ আসামির সবাই কারাগারে আছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাসহ হরতাকাতুল জিহাদের ১৩টি নাশকতামূলক ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিতে হত্যার পেছনের মূল ব্যক্তি বলা হয় মুফতি হান্নানকে।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মুফতি হান্নানের বাড়ি। ২০০০ সালের ২০ জুলাই সেই কোটালীপাড়াতেই শেখ হাসিনার সভামঞ্চের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। মুফতি হান্নান ওই মামলারও আসামি।

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ
February 2017
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728  


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া