হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারল না চট্টগ্রাম
জহির ভূইয়া ঃ ঘরের মাঠেও তামিম বাহিনী নিজেদের খুঁজে পেল না। বরিশালকে হারিয়ে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসা হল না তামিমের চট্টগ্রামের। নিজেদের ঘরের মাঠে ৩৩ রানে হেরেছে চট্টগ্রাম। ৫ম ম্যাচে ৪র্থ হারের স্বাদ গ্রহন করেছে। বিপিএলের তৃতীয় আসরে মিরপুরের উইকেটে চট্টগ্রাম ৪ ম্যাচ খেলে ৩ হার ও ১ ম্যাচে জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ৫ম স্থানে ছিল। নিজেদের ঘরের মাঠে সাগরিকায় অবস্থিত জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আজ চট্টগ্রাম হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে এক ধাপ এগুতে পারত। অন্যদিকে বরিশালের ৪ ম্যাচে ২ হার ও ২ জয়।
বরিশালের ১৭১ রানে মাঝারি টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে চট্টগ্রাম ১৩৭ রানে অলআউট ১৯.৫ ওভারে! ৫ম ম্যাচে এটা চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয় আর অপর দিকে বরিশালের ৪র্থ ম্যাচে এটা দ্বিতীয় হার। টস জিতে চট্টগ্রাম বরিশালকে ব্যাট হাতে তুলে দিয়ে ১৭০ রানে আটকেছে। ১৭১ রানের জবাবে চট্টগ্রামের ওপেনিং জুটি আহামরি কিছু করতে পারেনি। তামিম ব্যক্তিগত ৬ রানে আর দিলশান দলের এবং নিজের ১৯ রানে তাইজুলের বলে ক্যাচ দিলেন। কামরান আকমল শূণ্য রানে, মিডল অর্ডাওে আনামুল হকের ১২ আর নাইম ইসলামের ৪০ বলে ৩৮ রানই ছিল উল্লেখ করার মতো ব্যক্তিগত স্কোর। জিয়াউর রহমান ১৩ রানে ফেরত গেলে মোহাম্মদ আমিরের ১২ বলে ২০ রান আর শফিউল ইসলামের ১২ রান না হলে ১৩৭ হত কি-না সন্দেহ।মুলত কুপারের ৩ উইকেট আর আল আমিনের ২ উইকেট শিকারই চট্টগ্রামের জন্য কপাল পুড়িয়েছে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বরিশাল শুরুতে হোচট খায় চট্টগ্রামের বোলারদের কাছে। মাত্র ১ রানেই বরিশাল টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায়।লিউস ৪ রানে এলবিডব্লিউ দিলশানের বলে, রনিতালুকদার শূণ্য রানে মোহাম্মদ আমিরের বলে এলবি’র ফাঁদে কাটা পড়ে। কিন্তু ওয়ান ডাউনে নামা মেহেদি মারুফ টিকে ছিলেন। সঙ্গী হিসাবে পেলেন সাব্বির রহমানকে। কিন্তু সাব্বিরও এলবি’র ফাঁদে পড়েন শফিউলের বলে। ১২ রানে তিন উইকেট।
অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মারুফকে সঙ্গী করে ইনিংস মেরামত করার চেস্টা শুরু করেন। দলীয় ৫২ রানে মারুফ ২৮ রান করার পর জিয়াউর রহমানের বলে ক্যাচ দিলেন ৪র্থ উইকেটের পতন ঘটে।এরপরই কিন্তু বরিশালেল আসল রূপটা দেখা যায়। রিয়াদ-নাদিফ চৌধুরীর ৫ম জুটিও কিছু করতে পারেনি। নাদিফ ৭ রানে ফেরত গেলেন সেই জিয়ার বলে এলবি’র ফাঁদে পড়ে। এরপরই কিন্তু বরিশালেল আসল রূপটা দেখা যায়। রিয়াদ-পারসানা ৬ষ্ঠ জুটি বরিশালকে বহুদূও নিয়ে যায়। দলীয় ৬৩ রানে ৫ উইকেটের পতনের পর ১২৪ পর্যন্ত রিয়াদ-পারসানা জুটি ছিল চট্টগ্রামের বোলারদেও জন্য আতঙ্কের নাম। রিয়াদ দেখে শুনে খেলেও পারসানা চট্টগ্রামের বোলারদের মেরেকেটে ছেড়েছে। ২০ বলে পারাসানা ৩৬ বল সংগ্রহ করেন। মোহাম্মদ আমির তাকে ১৬.৪ ওভাওে চিগাম্বুরার হাতে ক্যাচে পরিণত করেন। রিয়াদ তখন ফিফটির পথে।
অবশেষে রিয়াদ চিগাম্বুরার বলে ৫১ রানে স্ট্যাম্পিং হন কামরান আকমলের হাতে। ৪৫ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কার মার দিয়ে রিয়াদ ফেরত যাবার পর ৮ম জুটিতে কুপার আর সামী অপরাজিত থেকে বরিশালকে ১৭০ পর্যন্ত টেনে নেন। ২১ রানে কুপার আর ৯ রানে সামী অপরাজিত থাকেন।