বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা, সম্রাটকে গ্রেপ্তারে মাঠে র্যাব
ডেস্ক রিপাের্ট : অবৈধ ক্যাসিনো-জুয়া, টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। তার অবস্থান জানতে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা। কেউ বলছেন তিনি কাকরাইলের অফিসেই আছেন। আবার কেউ বলছেন নিরাপদ কোনো স্থানে আত্মগোপন করেছেন।
ক্যাসিনো-জুয়াবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের অনেকেই জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন- ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার মূলে আছেন সম্রাট। তার হাত ধরেই ক্যাসিনোর প্রসার ও বিস্তার ঘটে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই অবৈধ এ বাণিজ্যের আদি-অন্ত বের করা যাবে। বন্ধও করা সম্ভব অবৈধ এ ব্যবসা।
জানতে চাইলে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বলেন, ক্যাসিনো সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বুধবার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই সম্রাট গ্রেপ্তার হচ্ছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন সারা রাত সম্রাটকে তার অফিসে এক ধরনের পাহারা দিয়ে রাখেন তার কয়েকশ’ সমর্থক। এর পরদিন থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এখনও ওই অফিস ঘিরে সার্বক্ষণিক যুবলীগ নেতাকর্মীদের ভিড় চোখে পড়ে। সোমবার সম্রাটের সন্ধানে কাকরাইলে তার অফিসে গেলে নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, তিনি অফিসে নেই। তবে অসমর্থিত একটি সূত্র জানায়, তিনি অফিসেই আছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে থাকতে পারেন ইসমাইল হোসেন সম্রাট।
ইসমাইল হোসেন সম্রাট দেশে আছে, না কি বিদেশে পালিয়ে গেছেন? তাকে ধরতে কোনো উদ্যোগ রয়েছে কি না- জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র্যাবকে।
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার সাহেব বাজার এলাকায়। তিনি প্রয়াত ফয়েজ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। সম্রাট যুবলীগে খুবই প্রভাবশালী এক নেতা। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বিগত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। যুগান্তর