adv
২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রিকেটই ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব উসকে দিচ্ছে

India-1425790597আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উপমহাদেশে ক্রিকেট মানে টান টান উত্তেজনা। আর যদি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয় তাহলে তো এর পারদ বেড়ে যায় আরো বেশ কয়েক গুণ। ওই ম্যাচকে ঘিরে শুরু শুধু ভারত-পাকিস্তানের নাগরিকদের মধ্যেই চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে না, বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেটমোদিদের মনেও এর ঢেউ লাগে।
গবেষণা বলছে, ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠানের আগে ও পরে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়। একে অপরকে বর্ণবাদমূলক ও কুচ্ছিত মন্তব্য করে থাকেন তারা। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কোমলমতি শিশুরা। ক্রিকেট শিশুদের মাঝে বর্ণবাদের বীজ রোপন করছে। ভারত ও পাকিস্তান শত্রুদেশ- এমন দৃষ্টিভঙ্গি শিশুদের মনেপ্রাণে গেঁথে দেওয়া হচ্ছে।
 
দিল্লিভিত্তিক আর্লি চাইল্ডহুড অ্যাসোসিয়েশন (ইসিএ) নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভারতীয় শিশুদের ওপর পরিচালিত গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ১৫ ফেব্র“য়ারি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ অনুষ্ঠানের এক দিন পর ওই জরিপ চালানো হয়। সমীক্ষায় কারা খেলবে, কারা জিতবে এমন প্রশ্নের পাশাপাশি পাকিস্তান ও পাকিস্তানিদের সম্পর্কে তাদের মনোভাব কী এমন বিভিন্ন বর্ণনামূলক প্রশ্ন করা হয়। পুনে, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই-এর ২ থেকে ৬ বছর বয়সি ৭০০০ হাজার শিশুদের ওপর ওই সমীক্ষা চালানো হয়।
 
ইসিএ-এর পরিচালক সোয়াত পাপট ভাট বলেন, ‘অধিকাংশ শিশুরা বর্ণনা করে, ম্যাচ চলাকালে তার বাবা প্রচণ্ডভাবে ভারতকে সমর্থন করেন। পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাস’ হিসেবে অভিহিত করতে শিশুদের উদ্বুদ্ধ করে তার বাবারা। শিশুরা জানায়, তাদের বাবারা শিখিয়েছেন যে, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত নয়।’
ভাত বলেন, ‘বাবারা ক্রিকেট ম্যাচের চেয়ে এটাকে দুদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় যুদ্ধ হিসেবে  তার সন্তানদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। আক্রমাত্মক ও বর্ণবাদমূলক বক্তব্যেও বাবারা শিশুদের প্ররোচনা দিয়ে থাকেন।’
একই ভাবে পাকিস্তানের নাগরিকরা ভারত সম্পর্কে একই মনোভাব পোষণ করে থাকেন বলে ভাত মনে করেন। তবে তাদের ওপর গবেষণা করা হয়নি। তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া