রাজশাহীর কাজটা কঠিন করে দিল কুমিল্লা
ক্রীড়া প্রতিবেদক : যেন শাপমোচন হলো! টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচের পর ম্যাচ হার তাই গত নয় ম্যাচ ধরেই নিজেদের সেখানে দেখে ক্লান্ত ছিলেন মাশরাফি। অবশেষে এক ধাপ উঠে এলো কুমিল্লা। রাজশাহী কিংসকে হারিয়ে ৮ উইকেটে হারিয়ে বরিশাল বুলসকে একধাপ নিচে ঠেলে দিল কুমিল্লা। শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও অন্তত এক ধাপ এগিয়ে যাওয়াটাকেই সান্তনা মানতে পারে মাশরাফির দল।
রাজশাহীকে হারিয়ে বিপিএলে নিজেদের তৃতীয় জয় পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। স্যামুয়েলস ও আহমেদ শেহজাদের ব্যাটে আট উইকেটের হারে সুপার ফোরের স্বপ্নে বেশ জোরেসোরেই ধাক্কা খেল ড্যারেন স্যামির দল। কারণ ১০ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে রাজশাহীর ঘাড়ে নি:শ্বাস ফেলছে রংপুর রাইডার্স।
রাজশাহীর দেওয়া ১২৫ রানের জবাবে আট উইকেট ও সমান সংখ্যক বল হাতে রেখে জয় ছিনিয়ে নেয় কুমিল্লা। খেলতে নেমে দলীয় ১৬ রানেই ইমরুল কায়েসের উইকেট হারায় কুমিল্লা। এরপর মারলন স্যামুয়েলস ও আহমেদ শেহজাদের ৯০ রানের জুটিতে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রাজশাহী।
স্যামুয়েলস ৪১ বলে দুই চার ও চার ছক্কায় ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর অপরদিকে মাত্র চার রানের জন্য অর্ধশতক বঞ্চিত হন শেহজাদ। কিংসদের হয়ে উইকেট দুটি নেন মিরাজ ও ফরহাদ।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৪ রান করে রাজশাহী কিংস। সবোর্চ্চ ৪৬ রান করেছেন প্রতিযোগিতায় প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা জেমস ফ্রাঙ্কলিন। এছাড়া মমিনুল হক করেন ২০ রান। ব্যাট করতে নেমে মমিনুল ও নুরুল হাসান সোহান জুটিতে ৩৮ রান তোলে রাজশাহী।
এরপরই পথ হারিয়ে বসে বিপিএলের শেষ পর্বে এসে চমক জাগানিয়া দলটি। ৩৮ রানে মুমিনুলকে হারানোর পর ৪৬ রানে সোহানকেও হারায় স্যামির দল। আজ ব্যাটিং ব্যর্থতার দিন সাব্বির-সামিত প্যাটেল ও মেহেদী হাসান মিরাজও যাওয়া আসার মিছিলে যোগ দেন।
এক পর্যায়ে ৭৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে রাজশাহী। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন ফ্রাঙ্কলিন ও আবুল হাসান রাজু। অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪৫ রান তোলেন এই দুজন, যেখানে রাজুর অবদান কেবল ৪! ৩১ বলে তিন চার ও দুটি ছয়ে ৪৬ রান করেন ফ্রাঙ্কলিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজশাহী কিংস: ২০ ওভারে ১২৪/৭ (ফ্রাঙ্কলিন ৪৬, মমিনুল ২০, নুরুল হাসান ১৭, ফরহাদ ১৩; সাইফুদ্দিন ৩/১২, মাশরাফি ২/২৪, নাবিল ১/১৪, রশীদ ১/১৬)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৮.৪ ওভারে ১২৫/২ (স্যামুয়েলস ৫৫, শেহজাদ ৪৬; ফরহাদ ১/১৪, মিরাজ ১/২৭)
ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)