ইউপি নির্বাচন – ভোলায় দুই গ্রুপে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, আহত ২৫
ডেস্ক রিপোর্ট : ভোলা সদরের আলীনগরে পৃথক দুটি স্থানে ইউপি সদস্য প্রার্থীর সর্মথকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি বর্ষণ ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম নামের একজন গুলিবিদ্ধ ও ইউসুফ হোসেন নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইউসুফকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৮ মার্চ শুক্রবার রাত ১০টার থেকে ১১টা পর্যন্ত হাজিরহাট ও শান্তিরহাট এলাকায় এ সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগানসহ বেশ কিছু ককটেল উদ্ধার করেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইউনিয়ন জুড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে সম্রাট ও ইস্রাফিল নামের দুই যুবককে। আটককৃত সম্রাট চেয়ারম্যান প্রার্থী বশিরের ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সদরের আলীনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাকসুদুর রহমান ও মো. হাসেম গ্রুপের সঙ্গে প্রচারণা নিয়ে উত্তেজনা চলে আসছিল।
শুক্রবার রাতে উভয় প্রার্থীর সর্মথকরা হাজিরহাট এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন। এ সময় উভয়ের সমর্থকদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বেশ কিছু ককটেল ও একটি পাইপগান উদ্ধার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অপরদিকে একই রাতে শান্তিহাট এলাকার, বাপ্তা ও লালমোহনের ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আরো ২০ জন আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়ের রয়েছে। এ ছাড়াও অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোলা। দিনভর পৃথক পাঁচটি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।