মঙ্গলে মহাসাগর?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌরজগতের লাল গ্রহ মঙ্গলে প্রবাহিত পানির সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিষয়টি সত্য হলে, মহাকাশে প্রাণের অস্তিত্বের ধারণায় আমূল পরিবর্তন হবে। এবং পৃথিবী ছাড়া অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে- এত দিনের এই সম্ভাবনা সত্যের খুব কাছাকাছি গিয়ে ঠেকবে।
এর আগে নাসা দাবি করেছিল, মঙ্গলগ্রহে বরফের অস্তিত্ব আছে। যাকে তারা বলেছিলেন, জমাটবদ্ধ বরফের সাগর। সেই ধারণায় বড় ধরনের পরিবর্তন এল এবার। বরফের সাগর নয়, বরং এই সাগরে পানির প্রবাহ আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা যুক্তরাষ্ট্রীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ওয়াশিংটনে তাদের সদরদপ্তরের জেমস ওয়েব অডিটোরিয়ামে এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে। ‘মঙ্গল রহস্যের সমাধান’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছে নাসা। তারা জানিয়েছে, ‘বিজ্ঞানের বিশাল আবিষ্কার’ সম্পর্কে জানানো হবে বিশ্ববাসীকে।
বিজ্ঞানের এই বিশাল আবিষ্কার কী? হ্যাঁ, তারা ঘোষণা করবেন, পৃথিবীর বাইরে মহাজগতের কোনো গ্রহে প্রবাহিত পানির সন্ধান পেয়েছেন তারা।
নাসার ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন নাসার চার বিজ্ঞানী। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নাসার সদরদপ্তরের গ্রহবিষয়ক পরিচালক জিম গ্রিন।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন মঙ্গল গ্রহে প্রবাহিত পানির সন্ধান পাওয়ার প্রথম দাবিদার ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী ও জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক লুজেন্দ্র ওঁঝা।
লুজেন্দ্র ওঁঝা মঙ্গলগ্রহের ছবিগুলো পর্যালোচনার সময় দেখেন, মঙ্গলের গ্রীষ্মকালের ছবিগুলোতে কিছু কালো বিন্দু স্থান পরিবর্তন করছে। কিন্তু শীতকালের ছবিতে এমন হচ্ছে না। পরে এ বিষয়ে বিস্তর গবেষণা করে তিনি দাবি করেন, মঙ্গলগ্রহে প্রবাহিত পানি রয়েছে, যার আকার হতে পারে সমুদ্র বা মহাসগারের মতো।
এর আগে নাসা আরো দাবি করে, এক সময় মঙ্গলের এক-পঞ্চমাংশ অঞ্চল পানিতে ঢাকা ছিল। যা থেকে তারা দাবি করেন, যেহেতু পানির অস্তিত্ব ছিল সেখানে, সেহেতু প্রাণের অস্তিত্বও ছিল এবং হয়তো এখনো আছে বা ভবিষ্যতে থাকবে।
এদিকে ২০২৪ সালে মঙ্গলগ্রহে পাড়ি দিতে যাচ্ছে একদল উৎসুক মানুষ। তারা শুধু যেতে পারবেন কিন্তু ফিরতে পারবেন না। সেখানে তারা আদৌ বেঁচে থাকতে পারবেন কি না, তাও নিশ্চিত নয়। এমন অবস্থায় নাসা মঙ্গলে প্রবাহিত পানির সন্ধান পাওয়ার যে দাবি করছে, তাতে মঙ্গল অভিযাত্রীদের আগ্রহ হয়তো আরো বেড়ে যাবে।