জিয়ার ক্ষমতা অবৈধ হওয়া রায়ে বিএনপিও নিষিদ্ধ হবে!
ডেস্ক রিপোর্ট : জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা অবৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়ের ভিত্তিতেই বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ভাবছে আওয়ামী লীগ। পর্যালোচনা করার জন্য কয়েক সপ্তাহ আগে দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এইচ টি ইমামের কাছে ওই রায়ের কপি পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
আইনজীবী এস. এম. বকস কল্লোল বিষয়টি বুধবার রাতে এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায়ের প্রেক্ষিতে দল ব্যবস্থা নেবে। না হয় আরোও সপ্তাহ খানেক পর আমরা আইনিভাবে এগোবে। আর এটা যেহেতু আমার বিবেচনা প্রসূত বিষয়, তাই এ বিষয়ে এরইমাঝে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সাথে আমি আলাপও করেছি।
উল্লেখ্য, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপিল বিভাগেও বহাল থাকার ওই রায়ের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের শাসনামলও অবৈধ হয়। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা মনে করছেন, ওই একই রায় অনুসারে বিএনপি নামক সংগঠনটিও অবৈধ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১০ সালের ২ ফেব্র“য়ারি এ আদেশ দেয়। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম, বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন, বিচারপতি বিজয় কুমার দাস, বিচারপতি মো. আব্দুল আজিজ ও বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (বর্তমান প্রধান বিচারপতি)।
প্রসঙ্গত ২০০৫ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্ট সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। রায়ের পরপরই সেই রাতেই ক্ষমতাসিন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার চেম্বার বিচারপতির আদালতে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদন জানালে তা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই আপিল না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগ সরকারকে আপিল প্রত্যাহারের অনুমতি দিয়ে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।
তবে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা মনে করছেন জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা বাতিল হওয়া রায়ের কারণে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহণ করাটাও ছিল অবৈধ। একই কারণে নবম সংসদে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরাও ছিলেন অবৈধ।