৩.৯৫ শতাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা : সুজন
নিজস্ব প্রতিবেদক : চতুর্থ ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া ২৯ শতাংশের বেশি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অর্থাৎ হত্যা মামলা রয়েছে তিন দশমিক ৯৫ শতাংশের বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সুজন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেয়া হয়।নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের জমা দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজন এ তথ্য দেয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর।সুজনের সহযোগী সমন্বয়কারী সানজিদা হক জানান, চতুর্থ ধাপে ৪২টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪৪৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এর মধ্য থেকে ৩৭৯ জন প্রার্থীর তথ্য বিশ্লেষণ করেছে সুজন।তিনি বলেন, ২০০ শতাধিক প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর। চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৯৮ জনের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকা বা এর চেয়ে কম। তবে এক কোটি টাকার বেশি আয় করেন পাঁচজন। আর ২৫৪ জন প্রার্থীর বার্ষিক আয় পাঁচ লাখ টাকার নিচে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৬৩ শতাংশের পেশা ব্যবসা। ৬৩ জন প্রার্থী ঋণগ্রহীতা। তবে ৩১৬ জনের কোনো ঋণ নেই।সহিংসতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন বলেন, দেশে যে মুহূর্তে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে তখন সন্তোষজনক কারণ ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এভাবে ছুটিতে যাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচন কমিশন গা ছেড়ে দেয়ার কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনকে ব্যর্থ বলেও উল্লেখ করেন।সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনে যে কেন্দ্র দখল এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।স্থানীয় নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আইন করে তা হতে পারে। তবে এর পক্ষে-বিপক্ষে দুই ধরনের মতই রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, নির্বাচন কমিশন নিজের সাফাই গাচ্ছে। কমিশন বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। কমিশনকে এখন মানদণ্ড ঠিক করতে হবে আর কত বিশৃঙ্খলা হলে, আর কত মানুষ মারা গেলে তারা বলবেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।