ছাত্রলীগের দু’পক্ষে হাতাহাতি, এক নেতা বহিষ্কার
ঢাবি: এক ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক স্ট্যাটাসে নারীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওই নেতারই বাজে মন্তব্য শুনতে হলো সংগঠনেরই এক নারী নেত্রীকে। আর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এদিকে হাতাহাতির ঘটনায় সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপআপ্যায়ন সম্পাদক লিটন মাহমুদকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বাংলামেইলকে নিশ্চিত করেছেন।
অন্য দিকে কবি জসিম উদ্দিন হলের সভাপতি মেহেদী হাসান রনিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে কবি জসিম উদ্দিন হল ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান রনি ঢাবি সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বসে ফেসবুকে ইভটিজিংয়ের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এ সময় সেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শামসুন্নাহার হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফরিন নুসরাত আসেন।
সেসময় নুশরাতকে উদ্দেশ করে বাজে মন্তব্য করেন মেহেদী। এতে দু’জনের মাঝে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে নুসরাতকে মারতে উদ্যত হলে তাদের মাঝে হাতাহাতি হয়। সেখানে থাকা অন্য ছাত্রীরাও মেহেদীকে মারার জন্য উঠে আসে।
এ সময় হট্টগোল ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের উপআপ্যায়ন সম্পাদক লিটন মাহমুদও নুসরাতকে মারতে যান। পরে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ওমর শরীফ বাংলামেইলকে বলেন, ‘ফেসবুকের বিষয়কে কেন্দ্র করে একটু ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে বলে আশা করছি।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফরিন নুসরাত বাংলামেইলকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতারা নারীদের নিয়ে অসম্মান ও কটূক্তিমূলক ছবি ও বক্তব্য পোস্ট করেছেন। আমরা নারীনেত্রী হিসেবে সেটার প্রতিবাদ করেছি। ইতোমধ্যে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা জড়িতদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার কবি জসিম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গিয়ে মিল্ক ভিটা দুধ হাতে নিয়ে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ছবিটিতে একজন নারী বিক্রেতার ছবি ওঠে আসে। পরে পোস্টের ছবিটিতে আপত্তিকর মন্তব্য লেখেন তিনি। এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফরিন নুসরাতকে নিয়েও আপত্তিকর কথা বলা হয়।