রাজধানীতে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ঢাকা: রাজধানীতে সতর্কাবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। যানবাহন চলাচল কম। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে রাস্তায় চলাচলকারীদের। অল্প আয়ের মানুষদের মধ্যে আক্ষেপ লক্ষ করা গেছে। শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ (গণতন্ত্রের অভিযাত্রা) কর্মসূচি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তাদের এ কর্মসূচি। সারা দেশ থেকে পতাকা হাতে নিয়ে রাজধানীতে আসতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সরকারের শেষ সময়ে এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্কাবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। রাজধানীতে পুলিশের শতাধিক টিম টহলে রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যা ব সদস্যরাও টহলে রয়েছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায় নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “ঢাকা শহরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ রয়েছে। সন্দেহজনক হলে লোকজনকে তল্লাশি করা হবে।”
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবির হোসেন জানান, তার বাসা মালিবাগে। অফিস গুলশানে। অন্যদিন বাসে চলাচল করলেও শনিবার বাস পাননি। কিছু পথ হেঁটে এবং কিছু রিকশায় চড়ে কর্মক্ষেত্রে যান তিনি।
মহাখালী যেতে গাড়ির জন্য মগবাজার মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি কর্মকর্তা সাজ্জাদ আলম। তিনি বলেন, “যেভাবে হোক অফিসে যেতেই হবে। বাসা থেকে বের হতে ভয় লাগছিল, কোথায় কী হয়। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে বের হয়েছি।”
সাইফুল ইসলাম নামের এক বাসচালক বলেন, আমরা রাজনীতি বুঝি না। কামাই করে পেট চালাতে চাই। রুজি না হলে বউ-বাচ্ছারা না খাইয়া থাকবো।
রিকশা চালক ইমতিয়াজ বলেন, “সরকার বদল হোক না হোক, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ের কারণে আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়।