রেকর্ড গড়ে জিতল শ্রীলঙ্কা
ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়ছেন, এমন ভূমিকায় সাম্প্রতিক সময়ে খুব কমই দেখা গেছে অ্যাঙ্গেলো ম্যাথুসকে। কিন্তু গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যথার্থ অধিনায়কের মতোই ব্যাটিং করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ইনিংসের শেষ ওভারে সাজঘরে ফিরতে হলেও তাঁর করা ৪৪ বলে ৪৭ রানের ইনিংসটাতে ভর করেই ২ উইকেটের ঘাম ঝরানো জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও সমতা ফিরিয়েছে ১-১ ব্যবধানে।
দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৮৫ রানের লক্ষ্যটাকে বেশ দুরূহই বলতে হবে। কারণ এর আগে এই মাঠে এত রান তাড়া করে জিততে দেখা যায়নি কোনো দলকেই। ২০১০ সালে পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছিল ২৭৪ রান তাড়া করে। সেটাই ছিল এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। গতকাল শ্রীলঙ্কা নতুন রেকর্ড গড়ে জিততে পারবে না বলেই মনে হয়েছিল একটা সময়। ৩৬ ওভার শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে লঙ্কান স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল ১৭৩ রান। জয়ের জন্য শেষ ১৪ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১২ রান। ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাথুস ও নুয়ান কুলাসেকারার ৫৭ রানের ঝোড়ো জুটিটাই জয়ের পথে বেশ খানিকটা এগিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। তবে ৪৩ ও ৪৪তম ওভারে কুলাসেকারা ও প্রাসানা আউট হওয়ার পর আবার ম্যাচের ভাগ্য ঘুরে গিয়েছিল পাকিস্তানের দিকে। কিন্তু জয়ের পণ করেই যেন উইকেটে এসেছিলেন ম্যাথুস। অষ্টম উইকেটে করুণারত্নেকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ৪৪ রানের জুটি গড়েন লঙ্কান অধিনায়ক। এই জুটিটাই জয়ের বন্দরে নিয়ে যায় শ্রীলঙ্কাকে। আর শেষ ওভারে চার মেরে জয়টা নিশ্চিত করেন সেনানায়েকে।
অধিনায়ক ম্যাথুসের কথা শুরুতে বলা হলেও শ্রীলঙ্কার এই জয়টা ছিল ব্যাটসম্যানদের দারুণ সমন্বিত প্রচেষ্টার ফসল। তিলকারত্নে দিলশানের ৪০, সাঙ্গাকারার ৫৮, দিনেশ চান্দিমালের ৪৪ ও কুলাসেকারার ৩২ রানের ছোট ইনিংসগুলোই মুখ্য ভূমিকা রেখেছে লঙ্কানদের দুই উইকেটের এই জয়ের পেছনে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২৮৪ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল ওপেনার আহমেদ শেহজাদের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরির সুবাদে। ১২৪ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক ও শহীদ আফ্রিদিও শেষ পর্যায়ে ভালো অবদান রেখেছেন দলের সংগ্রহটা বড় করার পেছনে। ৫৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন মিসবাহ। ১৫ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংস এসেছে আফ্রিদির ব্যাট থেকে।