শীতে শিশুর যত্ন
ঢাকা: দিনের বেলায় গরম বিকেল হতে না হতেই হালকা শীতের আবহ। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই আবহে শিশুরা সহজেই ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। এসময় শিশুরা অ্যাডোনা ভাইরাস ও রোটা ভাইরাসের কারণে সর্দি, কাশি, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় (ব্রঙ্কিওলাইটিস) আক্রান্ত হয়। পাশাপাশি সালমোনেলা, সিসেলা, ক্যাম্পাইলো ব্যাকটেরিয়ার কারণে এসময় ৮০ শতাংশ শিশুদের ডায়রিয়া হয়।
ধুলাবালি, খোলা খাবার ও অবিভাবকদের অসচেতনার কারণে শিশুরা সহজে এসব রোগে আক্রান্ত হয়।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা.আমজাদ হোসেন বাংলামেইলকে শীতকালে শিশুস্বাস্থ্য সম্পর্কে বলেন, শীতের শুরুতে ধুলাবালি, খোলা খাবার ও হাঁচির মাধ্যমে শিশুরা সহজেই ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসে। তবে অবিভাবকরা যদি একটু সচেতন হয় তাহলে এসব অসুখ থেকে সহজে শিশুকে রক্ষা করা সম্ভব।
শিশুদের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরী:
বাইরের খোলা খাবার না খাওয়ানো।
ফুটানো-বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে। বরফ বা ঠাণ্ডা জাতীয় কোনো খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা।
শিশুকে ধূলাবালি থেকে মুক্ত রাখতে হবে। সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
অন্যের হাঁচি ও কাশি থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে।
শিশুদের খুব বেশি গরম ও খুব বেশি পাতলা কাপড় পরানো উচিত নয়। খেয়াল রাখতে হবে পোশাক যেন আটসাট না হয়। আরামদায়ক পোশাক পরাতে হবে।
শিশুকে খালি পায়ে রাখা যাবে না, সবসময় মোজা ও স্যান্ডেল পড়াতে হবে। মেঝেতে কার্পেট বা মাদুর বিছিয়ে রাখতে হবে।
কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে নিয়মিত গোসলের পাশাপাশি তাদের ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
শিশুদের যেকোনো অসুখ বিসুখ হলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও আবাসিক চিকিৎসক ডা. প্রবীর কুমার সরকার বাংলামেইলকে বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই সময়ে ঠাণ্ডা, কাশি, ডায়রিয়া ও ত্বকের সমস্যা জনিত কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা দেড়গুন বেড়ে গেছে।