মোবাইল ব্যাংকিং করতে পারে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান
ঢাকা: ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা গেলে এনজিও ও ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক সেবার মধ্যে আসবে। এনজিও ও ক্ষুদ্র ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরি হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (এমআরএ)।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান খন্দকার মাজহারুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরীন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ড. এম আসলাম আলম বলেন, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। যথাযথ আইনি কাঠামোর মধ্যে একে নিয়ে আসা হলে দেশের ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা মানুষ উপকৃত হবে।
দাশগুপ্ত অসীম কুমার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত ২৮টি ব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিং করার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রতিদিন গড়ে দেড়শ’ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। এজেন্ট সংখ্যাও দেড় লাখের কাছাকাছি। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ক্ষুদ্র ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে মোবাইল ব্যাংকিং শুরু করলে এর প্রসার আরো বেড়ে যাবে।
আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরীন বলেন, ব্যাংকগুলো এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবে। আমাদের কাঠামোও আছে। এনজিওরা এগিয়ে আসলেই এটি শুরু করা যেতে পারে।