বিএনপি নেতাদের জামিন শুনানি শেষ, আদেশ পরে
গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে মতিঝিল থানায় দায়ের হওয়া ২টি মামলায় আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপিসহ পাঁচ নেতার জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানি শেষ হয়েছে। আদেশ পরে দেবেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হকের আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার ইফতেকার আহমদ পরে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানান।
তবে শুনানিকালে আসামিদের আদালকে হাজির করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অধিকতর শুনানির জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য্য করেন আদালত।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, ঢাকা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বারিস্টার মওদুদ ছাড়া এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার এমপি, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
গত সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আটক এ পাঁচ নেতার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন ঢাকা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
দু’টি মামলার একটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে গত ২৪ সেপ্টেম্বর তথ্যমন্ত্রীর বাসায় বোমা হামলা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে রা¯ত্মায় ৮/১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে ও গাড়ির ভেতরে থাকা ড্রাইভারদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের নির্দেশ ও পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়।
অপর মামলায় গত ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বরের হরতালের দ্বিতীয় দিনে ১৮ দলের একটি মিছিল থেকে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য রা¯ত্মায় অবরোধ সৃষ্টি করার নির্দেশ ও পরিকল্পনার অভিযোগ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার ভোর থেকে টানা ৭২ ঘণ্টা হরতাল ঘোষণা দেওয়ার ঘণ্টা পাঁচেকের মাথায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ওই ৫ নেতাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।