ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুত পাবে বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুতপ্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে। ত্রিপুরার পালাটানাতে সোমবার বিদ্যুত উতপাদন কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ইউনিটে উৎপাদিত বিদ্যুতের একটা বড় অংশ পাবে বাংলাদেশ। এমন কথাই বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
বিবিসি বাংলার এক খবরে বলা হয়েছে, পালাটানা বিদ্যুত কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মোট উতপাদন ক্ষমতা ৭২৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বাংলাদেশের কাছে শুরুতে ১০০ মেগাওয়াট ও পরে ক্রমান্বয়ে সেটা বাড়িয়ে ২৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুত বিক্রি করা সম্ভব বলে ত্রিপুরা সরকার নিশ্চিত করেছে।
ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যুতমন্ত্রী মানিক দে জানিয়েছেন, আপাতত পালাটানার প্রথম ইউনিটের পুরো উৎপাদনটাই ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের কাজে লেগে যাচ্ছে। কিন্তু দ্বিতীয় ইউনিটের উতপাদন শুরু হলে তার অনেকটাই উদ্বৃত্ত থেকে যাবে যেটা তারা বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চান। এর জন্য ত্রিপুরার সূর্যমনিনগরে ইতিমধ্যেই যে বিদ্যুৎ গ্রিড স্থাপন করা হয়েছে তার সঙ্গে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় বিদ্যুত গ্রিডের সংযোগ স্থাপন করতে হবে। আর এই পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যেই দুদেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
পালাটানায় প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করেন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি-বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী চৌধুরী এবং সে দেশের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে বড় বিদ্যুত উতপাদন কেন্দ্র হল পালাটানা। আর ত্রিপুরায় এই কেন্দ্রটি স্থাপন করার পেছনে বাংলাদেশের বড় ভূমিকা ছিল। কেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য যাবতীয় ভারী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নদীবন্দর হয়েই। ঢাকার অনুমতি না পেলে ওই সব যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম দুর্গম ত্রিপুরাতে পাঠানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ত। আর এ কারণেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে বিদ্যু দিতে আগ্রহী ত্রিপুরা।