ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জাতীয় দলে ফিরতে চান
স্পোর্টস ডেস্ক : বেশ কিছুদিন জাতীয় দলের বাইরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্বকাপের পর পর্তুগালের হয়ে গত ৬টি ম্যাচে আর মাঠে দেখা যায়নি তাকে। তবে নতুন বছরের শুরুতেই ভক্তদের সুসংবাদ দিলেন জুভেন্টাস তারকা। জানালেন, ২০১৯ সালে ফেরার ইচ্ছা আছে তার।
রাশিয়া বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন রোনালদো। গ্রুপ পর্বে চার গোল করে পর্তুগালকে নিয়ে গিয়েছিলেন শেষ ষোলোতে। কিন্তু উরুগুয়ের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় ইউরো চ্যাম্পিয়নদের। এরপর জাতীয় দলের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলেননি রোনালদো।
বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে নাম লেখান রোনালদো। নতুন ক্লাবে নিজেকে মানিতে নিতে বাড়তি সময় চেয়েছিলেন তিনি। আসর শেষে পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছান রোনালদো। সমঝোতাটা এমন ছিল যে, জাতীয় দলের হয়ে মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধের কোনো ম্যাচ খেলবে না তিনি।
সে কারণেই উয়েফা নেশন্স লিগ আর প্রীতি ম্যাচগুলোতে দেখা যায়নি রোনালদোকে। অবশ্য তার অভাব বোধ করেনি ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। ইতোমধ্যেই নেশন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি। আগামী ৬ জুন সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে পর্তুগাল। এর আগে অবশ্য ইউরো বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ খেলবে তারা। প্রথমটি ২৩ মার্চ ইউক্রেনের বিপক্ষে। তিন দিন বাদে সার্বিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয়টি।
ইউক্রেনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ফিরতে পারেন রোনালদো। যদিও নিশ্চিত করে কিছু বলেননি ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা। জাতীয় দলের ফেরার বিষয়টি কোচ সান্তোসের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক দ্য মার্কাকে এই প্রসঙ্গে জুভেন্টাস সুপারস্টার বলেছেন, ‘কোচ যদি আমাকে নেয়ার প্রয়োজন বোধ করে, তবে জাতীয় দলে ফেরার ইচ্ছা আছে আমার।’
চলতি বছর ব্যালন ডি’অরের মত ব্যক্তিগত খেতাবগুলো হাতছাড়া হয়ে গেছে রোনালদোর। তবে পর্তুগিজ তারকা জানিয়েছেন, এসব নিয়ে ভাবছেন না তিনি। দলকে সাহায্য করাই মূল লক্ষ্য তার, ‘আমি ব্যক্তিগত পুরস্কারের জন্য মরিয়া নই। দলের জয়ে অবদান রাখাটাই বরং বেশি গুরুত্বপূর্ণ। -দ্য মার্কা