তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে সাজার পরোয়ানা জারি
ডেস্ক রিপাের্ট : অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পলাতক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজার পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ৭ নভেম্বর সোমবার এই পরোয়ানা জারি করেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানিয়েছেন, আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর মাধ্যমে পরোয়ানা ক্যান্টনমেন্ট থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেককে না পেয়ে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি আট বছর ধরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। আর তার বন্ধু বিতর্কিত ব্যবসায়ী মামুন কারাগারে।
ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুদকের করা এ মামলার রায়ে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেককে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন। আর গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে পরে আপিল করে দুদক। তবে আপিলের রায়ে গত ২১ জুলাই হাইকোর্ট তারেককে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি পলাতক আসামি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজার পরোয়ানা জারি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, তারেক রহমান আত্মসমর্পণ করলে বা তাকে গ্রেফতার করা হলে সে সময় থেকে তার দণ্ড কার্যকর শুরু হবে।
হাইকোর্টে সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণার আড়াই মাসের বেশি সময় পর ১৭ অক্টোবর ৮২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। সোমবার বিচারিক আদালত পলাতক আসামি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজার পরোয়ানা জারি করেন।
ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল দুদক।