৬ রানে হারলো সিলেট
ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রথম দুই ম্যাচে চিটাগাং ভাইকিংস ও বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ১ রানে হারার পর আজ রংপুর রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৬ রানে হারলো মুশফিকুর রহিমের সিলেট সুপারস্টার্স। সাকিবদের দেয়া ১১০ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করতে সক্ষম হয়েছে মুশফিকরা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেছেন মমিনুল হক। আর মুশফিকুর রহিম ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। রংপুর রাইডার্সের পক্ষে সাকিব আল হাসান ৩টি, আবু জায়েদ ২টি, থিসারা পেরেরা ১টি, সাচিত্রা সেনানায়েকে ১টি, আরাফাত সানি ১টি ও ড্যারেন স্যামি ১টি করে উইকেট নেন।
এদিন ইনিংসের শেষ ওভারে সিলেটের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ৭ রান। তখন সাকিব আল হাসান বল তুলে দিয়েছিলেন আবু জায়েদের হাতে। স্ট্রাইকে ছিলেন অজন্তা মেন্ডিস। অপর প্রান্তে ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
মেন্ডিস প্রথম বলে কোনও রান নিতে পারেননি। দ্বিতীয় বলে বাতাসে ভাসিয়ে খেলেন। বলটি বেশি উপরে উঠে যাওয়ায় ক্যাচটি নিয়ে নেন সাচিত্রা সেনানায়েকে। ফলে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম।
এর আগে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সিলেট সুপারস্টার্সের ওপেনার জশ কবকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থ ওভারে অপর ওপেনার দিলশান মুনাবিরাকেও সাজঘরে ফেরান সাকিব। তুলে মারতে গিয়ে থিসারা পেরেরার হাতে ক্যাচে পরিণত হন মুনাবিরা।
অন্যদিকে, মমিনুল হক মেরে খেলার চেষ্টা করছিলেন। ২৩ বলে ২৯ রান করে অষ্টম ওভারে পেরেরার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। নবম ওভারে নাজমুল ইসলামকে ফেরান সাচিত্রা সেনানায়েকে। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরেন তিনি। দশম ওভারে রবি বোপারাকে এলবিডব্লিউ করেন আরাফাত সানি।
১৫তম ওভারে নাসুম আহমেদকে ফেরান আবু জায়েদ। উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১৭তম ওভারে নাজমুল হোসেন মিলনকে বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। ১৮তম ওভারের শেষ বলে নুরুল হাসান রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ১৯তম ওভারে শহীদকে বোল্ড করেন ড্যারেন স্যামি।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান সংগ্রহ করে রংপুর রাইডার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সাকিব আল হাসান। আর সিলেটের পক্ষে মোহাম্মদ শহীদ ৪ ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন সাকিব আল হাসান।