ইতালিতে হাজার ছাড়ালো মৃত্যু, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রীও আক্রান্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও ইতালিতে ১ হাজার ছাড়িয়েছে প্রাণহানি। স্পেনে মারা গেছে ৮৪ জন। কানাডায় আক্রান্ত দেড়শো জনের মধ্যে আছেন খোদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী সোফি।
করোনার ছোবলে জনশূন্য রোম। গোটা ইতালির অবস্থাও একই। খাবারের দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই বন্ধ। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না কেউই।
একজন বলছেন, ‘সব কিছু বদলে গেছে। যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি, তারা আমার শ্রমঘণ্টাও কমিয়ে দিয়েছে। এটা রীতিমত দুর্যোগ।’
রোমকে দেখে মনে হবে সাক্ষাৎ মরুভূমি। মাত্র কদিন আগেও এখানে শত শত মানুষের ভিড় ছিলো।
ইতালির পর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে রেকর্ড প্রাণহানি স্পেনে। বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এক শিক্ষার্থী বলছেন, ‘করোনা আতঙ্কে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শেষ দিনটি নিজেদের মতো কাটাতে চাই। এরপর বাড়ি ফিরে যেতে হবে।’
করোনার কারণে যাত্রী নেই বললেই চলে। শুনেছি সারা দুনিয়ায় ছড়িয়েছে এ ভাইরাস। এর ফলে ব্যবসা বাণিজ্যেও ভাটা পড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় কিছুটা প্রাণহানি কমলেও ইরানে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সৌদিতেও বাড়ছে আক্রান্ত।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, উহানে করোনা ছড়ানোর পেছনে মার্কিন সেনাবাহিনীর হাত থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে সেলফ আইসোলেশনে ৪ কংগ্রেসম্যান। ক্যাপিটল হিলে ১ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিউইয়র্কে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
বাংলাদেশিদের ভিসা স্থগিতের পর শুক্রবার বিকেল থেকে সব স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত।
ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় যুগ্ম সচিব লাভ আগারওয়াল বলেন, ‘কূটনৈতিক, সরকারি, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তা ছাড়া সব ধরনের বৈধ ভিসা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। ১৩ মার্চ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর।’
আগামী ৫ দিন সব মসজিদ বন্ধ থাকবে সিঙ্গাপুরে। কানাডায় স্থগিত শুক্রবারের জুমার নামাজ। মেক্সিকো, তুরস্ক, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, কোস্টারিকা ও পর্তুগালে বন্ধ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নাইট ক্লাব। বুলগেরিয়ায় জারি জরুরি অবস্থা।