ইসরাইলের সঙ্গে শক্তিশালী ১২ দেশের সম্পর্কে ভাঁটা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইল বিরোধী প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়ায় ১২ দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাঁটা পড়েছে ইসরাইলের। গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদে ভোট দেয়ায় ওইসব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গত সপ্তাহে অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদি বসতিকে অবৈধ এবং নতুন বসতি নির্মাণের পক্ষে ভোট দেন নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্য দেশ- ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন, জাপান, ইউক্রেন, অ্যাঙ্গোলা, মিশর, উরুগুয়ে, স্পেন, সেনেগাল, নিউজিল্যান্ড, ভেনেজুয়েলা ও মালয়েশিয়া। তাই এইসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক তথা কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু। এদের মধ্যে ভেনেজুয়েলা এবং মালয়েশিয়ার সঙ্গে আগেও কোনো সম্পর্ক ছিল না ইসরাইলের।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিরাপত্তা পরিষদের ওই ১২ দেশ ও তাদের রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণ করবে না ইসরাইল।
তাছাড়া ইসরাইলি মন্ত্রীরাও ওইসব দেশে ভ্রমণ করবেন না। তবে ওই ১২ দেশে ইসরাইলের কূটনৈতিকরা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইল বিরোধী ভোট দেয়া ১২ দেশের রাষ্ট্রদূতকে সোমবার তলব করেন নেতানিয়াহু। তলব করার পর এবার ওই দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিলেন নেতানিয়াহু।
নিরাপত্তা পরিষদের ২৩৩৪ আর্টিকেলে বলা হয়, পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। শুক্রবার পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনকে অবৈধ এবং আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী বলে অভিহিত করা হয়। নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভোট দেয় ১৪টি দেশ।
নিরাপত্তা পরিষদভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক সীমিত করা নেতানিয়াহুর রাগের বহিঃপ্রকাশই বটে। বাস্তবিক ক্ষেত্রে ইসরাইল কিংবা অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে তেল আবিবের এই সিদ্ধান্ত তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের প্রতি নেতানিয়াহুর এমন পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ।
নেতানিয়াহু সোমবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান শাপিরোকে তলব করেছিলেন। তবে তার এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন শাপিরো। কেননা ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে নেতা নিয়াহুর সম্পর্ক শীতল হলেও, ট্রাম্পের সঙ্গে উষ্ণ।