তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ -অবস্থা সংকটাপন্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : মাদারীপুরে এবার পিতৃহীন তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন বিধায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিতসা শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অসহায় মেয়েটি এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউনুসের দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
এদিকে চিকিতসক জানিয়েছেন, যৌনাঙ্গের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় উন্নত চিকিতসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের বিবাহিত প্রতিবেশী ইউনুস সরদার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে মুখ চেপে ধরে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় সরিষা ক্ষেতে। এরপর সেখানে নিয়ে ৯ বছর বয়সী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন শুক্রবার সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এখানে অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ২০১১ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর মেয়েটির মা মানুষের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করে যে অর্থ পান তা দিয়ে মেয়েটির পড়ালেখার খরচ চালাতেন। কিন্তু এই অবস্থায় উন্নত চিকিতসার ব্যয়ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে অসহায় এই পরিবারটির।
নির্যাতিত মেয়েটির মামা আজিজুল সরদার বলেন, ‘এমন নোংরা কাজ করে আবার হত্যার হুমকি দিচ্ছেন ইউনুস। বলছে, পুলিশ কিংবা সাংবাদিকদের জানালে ঘটনা বেশি ভাল হবে না। বাবাহারা মেয়েটির পাশে প্রশাসন না থাকলে এর সঠিক বিচার হবে না।’
একই এলাকার মুদি দোকানদার মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ‘নিষ্পাপ শিশুটির সাথে যে ব্যবহার করা হয়েছে অভিযুক্ত লম্পট ইউনুসের দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তি চাই। ওর ফাঁসি চাই, যা দেখে অন্য কেউ যেন এমন জঘন্য কাজ না করতে পারে।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিতসক ও মেডিকেল অফিসার খন্দকার মাইনুল হাসান জানান, ‘ওই ধর্ষিতার গোপনাঙ্গ দিয়ে মারাত্মকভাবে রক্ত ঝড়ছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে শুক্রবার দুপুরে উন্নত চিকিতসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপাসিন্দু বালা বলেন, ‘কালকিনি থানায় ইউনুসকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেছে নির্যাতিত মেয়েটির মামা আজিজুল সরদার। আর এ ঘটনার পর থেকে ইউনুস ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। তবে অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’