দর্শক আগ্রহ ছিল চোঁখে পড়ার মতো
জহির ভূইয়া
বড়দের বিশ্বকাপ আসর না। তাই অনু-১৯ বিশ্বকাপ আসরের শুরুতে দর্শক আগ্রহ ছিল নেহায়েতই না বলার মতো। কিন্তু অনু-১৯ বিশ্বকাপের আসরে প্রথম পর্বে বাংলাদেশ ছোটদের দল ৩ ম্যাচে টানা জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে নাম লেখালে দেশজুড়ে আগ্রহ সৃস্টি হয়। তারই প্রমান মেলে আজ মিরপুর স্টেডিয়ামের গেইট গুলোতে। সকাল ৯টায় ম্যাচ শুরু হয়। তারপরও শীতের সকালে দর্শক আগ্রহ ছিল চোঁখে পড়ার মতো ঘটনা। এই লেখার যখন চলছিল তখন স্কোর ৪ উইকেটে ২২ ওভারে ৮৮। বাংলাদেশ অনু-১৯ টস জিতে ব্যাট করছে।
মিরপুর ১০ নম্বর গোল চক্কর থেকে স্টেডিয়ামের প্রথম গেইট (৫ নম্বর) চোঁখে পড়ে। গেইটের সামনে স্কুল-কলেজের ড্রেস পড়া মেয়েদের দেখে আগ্রহ বেড়ে যায়। এতো সকালে এখানে স্কুল-কলেজের মেয়েরা কি করছে? জানতে চাইলে জবাব আসে সেমিফাইনালের ম্যাচ দেখতে এসেছে সবাই। সামনে এগিয়ে গেলে ৪ নম্বর গেইট। সেখানেও একই দৃশ্য।
আর ৩ নম্বর গেইটে বয়স্ক নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী ছাড়াও বাচ্চাদের চোঁখে পড়ল। ১ নম্বর ভিইপি গেইটে ছিল সবচেয়ে বেশি ভীড়। বিশাল লাইন। আর পাশাপাশি রাস্তা শোনা গেলে “ঐ গ্যালারী”। মানে গ্যালারীর টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। সবাই চাচ্ছে দর্শক আসুক। যে কারনে বিসিবি আর প্রশাসন কিছু দেখেও দেখেনি। মিডিয়াও এ নিয়ে তেমন কোন আগ্রহ দেখায়নি। কারন সবাই চাইছিল গ্যালারিতে দর্শক আসুক। এমনিতেই ছোটদের বিশ্বকাপ বলে আগ্রহ কম। এখন যখন দর্শক আগ্রহ দেখাচ্ছে তাতে বাধা দেয়ার কোন মানেই নেই। সকাল ১১টা নাগাত পূর্ব গ্যালারীর উপরের অংশ প্রায় পূর্ন। আর পশ্চিম দিকেও তাই। নিচের অংশ কিছুটা খালি। সময় যাবার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকর বাড়তে থাকে।