আওয়ামী লীগ কর্মীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা
ডেস্ক রিপোর্ট : যশোরের চৌগাছায় আওয়ামী লীগ কর্মীর পকেটে ইয়াবা দিয়ে আটক করার অভিযোগে থানার এক উপ-পরিদর্শকের গায়ে কেরোসিন দেওয়ার চেস্টা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে পুলিশ জানিয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যার সময় চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন চৌগাছা উপজেলার কাবিলপুর বাজারে নিয়মিত টহলে যান। সেখানকার একটি ক্লাবে কেরামবোর্ড খেলতে ছিল কাবিলপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মহাশিনসহ কয়েকজন। তখন জসিম উদ্দিন মহাশিনকে কাছে ডেকে নিয়ে তার পকেটে কয়েক পিস ইয়াবা টুকিয়ে দিয়েই তার হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে দেয়।
এসময় উপস্থিত লোকজন তার হাতে হ্যান্ডকাপ লাগানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন তার পকেটে ইয়াবা টেবলেট রয়েছে। পরে লোকজন এসআই জসিম উদ্দিনের কারসাজি বুঝতে পেরে সাথে সাথে প্রতিবাদ জানায়।
একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন এসআই জসিম উদ্দিনকে কিল ঘুষি মেরে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে তার গায়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে জসিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে।
পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কাবিলপুর গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে সহিকুল (২৭) ও একই গ্রামের মৃত রবিউল বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০) নামে ২জনকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানায়, সহিকুল ও আলমগীর এঘটনার কিছুই জানেনা। তারা মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সাথে সাথে পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
এ ব্যাপারে এসআই জসিম উদ্দিন জানান, মহসিন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তাকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়। কিন্ত তার সহকর্মীরা আমাকে হেনস্তা করেছে।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ওসি ইলিয়াস হোসেনকে বলেন, তার থানার এসআই জসিম উদ্দিন সীমান্তবর্তী গ্রামে একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ছিলেন। সেখানে প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রির সময় এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন তিনি। এরপর মাদক ব্যবসায়ীর সহযোগিরা জসিমের মোটর সাইকেলের পেট্রোল তার গায়ে ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় কিছু লোকের বাঁধার কারনে তা পারেনি। আল্লাহর রহমত তাকে অক্ষতঅবস্থায় আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।