পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার – সর্বত্র কোরবানির পশু ছিনতাইয়ের মহোতসব
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে কোরবানির পশু ছিনতাইয়ের মহোতসব চলছে। সংবাদপত্রের বদৌলতে আমরা প্রতিদিনই জানতে পারছি এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা। এই ছিনতাইয়ের পেছনে কে বা কারা দায়ী সেটা পরিষ্কার করে বলতে পারছেনা কেউ। এত সব ছিনতাইয়ের ঘটনার পরও পুলিশ বলছে তারা কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে অপরাধ দমনে সক্রিয় রয়েছে। গরু ছিনতাইয়ের ঘটনাকে তারা নজরে আনছে না। প্রকৃত অর্থে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ। পশুর হাট জমে ওঠার আগেই গত দুই-তিন দিনে বিচ্ছিন্ন কোরবানির পশু ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে রাজশাহী থেকে নোয়াখালী যাওয়ার পথে গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকার মীরের বাজারে ১৯টি গরুসহ ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পদ্মা নদীতে ১০-১২জনের অজ্ঞাতনামা ডাকাতদল ট্রলার নিয়ে গরু ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালিয়ে ট্রলারসহ গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ট্রলারের গরু ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা সাড়ে ৮ল টাকাও ডাকাতরা নিয়ে যায় বলে গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালেও এ ধরণের একটি ঘটনা ঘটে। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে গরু বোঝাই একটি ট্রাক ছিনতাই করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুধু ট্রাক ছিনতাই নয়, ব্যবসায়ীদের ছুরির আঘাতে ত বিতও করেছে। যারা ছিনতাই করেছে তাদের গ্রুপটি এক দু’জনের নয়, আট থেকে দশ বারো জনের সংঘবদ্ধ একটি দল ছিল। পুলিশ চালকসহ আশুলিয়াতে সেই ট্রাক উদ্ধার করে। কিন্ত ট্রাকে গরু ছিল না।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক ও ট্রলারে করে কোরবানির পশু নিয়ে যাওয়ার সময় চাঁদাবাজী চলার পাশাপাশি এখন শুরু হয়েছে ছিনতাই। পুলিশের প থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে গরুর হাট থেকে রাস্তাঘাটে কোরবানির পশু আনার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কান দিচ্ছে না ছিনতাইকারীরা। এমন মর্মান্তিক ঘটনা রোধ করতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, গরু ছিনতাই নয় গরু ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদারদের মধ্যে দু-একটি টানা টানির ঘটনা ঘটেছে।