adv
৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুসহ ৪ জনকে গলা কেটে হত্যা – পারিবারিক কলহের জের ধরেই খুন

Kill1ডেস্ক রিপোর্ট : বান্দরবানে পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই শিশু সন্তানসহ একই পরিবারের চার জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের আত্মীয়রাই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে কিনা সে বিষয়েও পুলিশ তদন্ত করছে।
নিহতরা হলেন- মো. আমিন (৪২), তার ছেলে মো. জোনায়েদ (১০), বোন সামিরা বেগম (৩৫) এবং বোনের ছেলে সৈয়দ নূর (৫)। এরা সবাই রোহিঙ্গা।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ক্যায়ামলং পাড়ার পাশে আব্দুল মোতালেবের ঘোনা কাঁঠাল বাগান এলাকা থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ক্যামলং এলাকার ব্যবসায়ী আবু বক্করের খামার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, সকাল ৭টার দিকে ঘরে কোন সারা শব্দ না পেয়ে, তাদের খোঁজ করতে গিয়ে পুকুর পাড়ে মো. আমিনের লাশ দেখতে পায়। পরে ঘরে প্রবেশ করে দুই শিশুসহ ছমিরা বেগমের গলা কাটা লাশ দেখে ইউপি চেয়ারম্যানকে মোবাইল ফোনে খবর দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান সদর থানায় ঘটনার কথা জানান।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহাম্মদ জানান,পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর পেছনে আর কোনো রহস্য আছে কিনা সে বিষয়েও পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে।

স্থানীয় গোপাল দাশ বাংলামেইলকে জানান, গত ১৩ বছর ধরে নিহত সামিরা বেগম কেয়ারটেকার হিবেবে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আবু বক্করের খামার বাড়িতে বসবাস করতেন। গত দুই বছর ধরে তার বড় ভাই মো. আমিন তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে একই ঘরে বসবাস করতেন। দীর্ঘ দিন ধরে আমিন ও তার স্ত্রীর হাসিনা আক্তারের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এর জের ধরে ১৫ দিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে চট্টগ্রামের দোহাজারী বার্মা কলোনীতে চলে যান হাসিনা আক্তার।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাত করে স্ত্রী হাসিনা ও তার এক ভাইকে এই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। পারিবারিক কলহের জের ধরে সন্ধ্যা ৭ থেকে রাত ৮টার মধ্যে হাসিনা ও তার ভাইসহ কয়েকজন মিলে আমিন ও তার ছেলে জোনায়েদ, বোন সামিরা বেগম এবং বোনের ছেলে সৈয়দ নূরকে গলা কেটে হত্যা করে বলে তিনি ধারণা করছেন।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী আবু বক্কর বাংলামেইলকে জানান,বান্দরবানে তার ১২০ একর জায়গা রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেয়ারটেকার হিসেবে গোপাল দাশ নামে একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে তিনি জানতে পারেন গোপাল দাশ তার জায়গাতে একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে থাকতে দিয়েছে। তবে ওই জায়গা নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে পার্শ্ববর্তী ক্যামলং পাড়ার কিছু উপজাতি এই জায়গা দখল করতে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে তারাই জায়গাটি দখল করতে কেয়ারটেকারকে সপরিবারে হত্যা করেছে। এদিকে, ঘটনার পর বান্দরবানের সেনা, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া