দেশবাসীর জন্য শান্তির বার্তা নেই -রোববার থেকে বিএনপির আরো কঠোর আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক : শুক্রবার ভোর ৬টায় শেষ হয়ে যাবে বিএনপির টানা হরতাল। এরপর দুই দিন বিরতি। তবে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের পাশাপাশি শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এখানেই শেষ নয়, দেশবাসীর জন্য কোনো শান্তির বার্তা নেই। আছে অস্থিরতা। দেশটাকে বেসামাল করে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে সামনের দিকে এগুতে যাচ্ছে ২০ দলীয় জোট। সরকার রোববারের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে চলমান অবরোধের সঙ্গে সর্বাত্মক হরতালসহ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুমকিও দিয়ে রেখেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ এ কর্মসূচির কথা জানান।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ক্রসফায়ারের মাধ্যমে নেতা-কর্মী হত্যা এবং গণগ্রেফতার বন্ধ, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ এবং সাংবাদিক নির্যাতন ও সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ বন্ধ, জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, অন্যায়ভাবে গ্রেফতার হওয়া বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শনিবার দেশের সব থানা, উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা সদরে এবং সব মহানগরের প্রতি ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। সরকার গণদাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা না দিলে রোববার থেকে একই দাবিতে চলমান অবরোধের সঙ্গে সঙ্গে সর্বাত্মক হরতালসহ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ‘গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলন’ অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম দেশরক্ষার সংগ্রাম, স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্র থেকে দেশের মানুষকে রক্ষার সংগ্রাম, অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করার সংগ্রাম, ভোটের অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার সংগ্রাম। জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে দেশনেত্রী যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই মন্তব্য করে বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘শাসকশ্রেণির পতন অবশ্যম্ভাবী। অবৈধ সরকারের ক্ষমতার সূর্য অস্তমিতপ্রায়। নিষ্ঠুর, নির্মম কায়দায় দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখে শাসকশ্রেণি নিজেদের পতন ত্বরান্বিত করছে। সময় থাকতে গণদাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন, অন্যথায় জনতার রোষানল থেকে কেউ আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না।