কি দোষ ছিলো কন্যা শিশুটির ?
ডেস্ক রিপোর্ট : একটি সন্তানের মুখ দেখার জন্য একজন মা যখন ১০ মাস দশদিন গর্ভধারণ করে তীব্র যাতনা সহ্য করে সন্তানকে সুস্থভাবে পৃথিবীর আলোয় প্রসব করেন। তখন তার মুখ দেখে সারাবিশ্বের সব চাইতে সর্বোচ্চ সুখ অনুভব করেন প্রসবকারি সেই গর্ভধারিনী মা-ই। আর নাড়ী চেড়া এই সন্তানের কারনেই ‘মা’ নামক মানুষটি সহ্য করেন অনেক অনেক যন্ত্রণা। কিন্তু সেই সন্তানকেই লোক চক্ষুর অন্তরালে ফেলে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে রাঙামাটি শহরে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সামনের বটগাছের নীছে কান্না শুনে এগিয়ে এসে একটি ফুটফুটে কণ্যা শিশুকে উদ্ধার করেছে হাসপাতালেরই আয়া লক্ষী দাশ।
অন্তত পাঁচ মাস বয়সী এই কন্যা শিশুটিকে কে বা কাহারা রাতে অন্ধকারে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে নিজেই এই কন্যাশিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে গেলেন হাসপাতালের ভেতরে। সকাল ১০টার সময় সেখানে দায়িত্বপালন করতে ডাঃ বেবি ত্রিপুরা আসলে মেয়েটিকে তিনি দেখভাল করে হাসপাতালের বেডে রাখতে নির্দেশনা দেন।
পরে তিনি পুলিশকে খবর দেন যাতে করে শিশুটিকে নিয়ে যায় তারা এবং এই ব্যাপারে যাতে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। রাঙামাটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের এনেসথেসিয়া চিকিতসক ডাঃ বেবি ত্রিপুরা জানিয়েছেন, আমি হাসপাতালে ডিউটিতে এসে জানতে পারি যে, একটি কন্যা শিশুকে কে বা কাহারা বটতলায় ফেলে চলে গেছে। পরে আমি আয়াকে দিয়ে মেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে রাখি। কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটির বয়স আনুমানিক পাচঁ মাস হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আপাতত আমি এই শিশুটিকে কারো হাতে দিচ্ছি না। আমি পুলিশকে খবর দিয়েছি তারা আসলে তাদের হাতে তুলে দিবো।
অপরদিকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় যোগাযোগ করলে এসআই আনোয়ার জানিয়েছেন, আমাদের কাছে খবর আসার পর পুলিশের একটি দলকে সেখানে পাঠানো হয়েছে এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে কোনো মালিক পাওয়া না যাওয়ায় কন্যা শিশুটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে শিশুটির ছবি তুলতে গেলে সেখানে দেখা গেছে, অনেকেই কুড়িয়ে পাওয়া ফুটফুটে এই কন্যা শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এসময় উপস্থিত অনেকেই বলতে থাকেন কন্যা শিশু হয়েই জš§ানো কি তার অপরাধ ? কি দোষ ছিলো নিষ্পাপ এই শিশুটির ? কেনই বা তাকে পাচঁটি মাস ধরে লালন পালন করে এই সময়ে ফেলে রেখে গেলো হতভাগী মা।