খালেদার বাসা ব্যারিকেডমুক্ত
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন ও জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসার সামনে থেকে ‘নিরাপত্তা ব্যারিকেড’ তুলে নিয়েছে পুলিশ। অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিও আর নেই।
এর আগেই বিরোধী দলীয় নেতার প্রোটোকল সরিয়ে নেয়া হলেও তা আর ফিরিয়ে দেয়া হয়নি।
প্রায় দু’সপ্তাহ পর বুধবার সকাল থেকে গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর রোডের এখন স্বাভাবিক অবস্থা।
গুলশান জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার নুরুল আমিন বাংলামেইলকে বলেন, ‘নিরাপত্তা ব্যারিকেড’ শিথিল করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া এখন বাসা থেকে বের হতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘বাসা থেকে বের হতে বাধা দেয়ার কোনো নির্দেশনা নেই।’
দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, আজ রাতে খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয়ে যেতে পারেন। এর আগে সাড়ে ৭টায় ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন তার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন। এর পর ২৮ ডিসেম্বর তার বাসার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি বিরোধী দলীয় নেতার প্রোটোকলও প্রত্যাহার করা হয়। এর পর কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয় খালেদা জিয়াকে। তার বাসার সামনে বালুর ট্রাক ফেলে রেখে পুরো বাড়িটিই অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। জলকামানও ছিলো বাসার সামনে।
এতদিন বিদেশি কূটনীতিক ছাড়া কাউকে খালেদা জিয়ার বাসায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। গণমাধ্যমকর্মীদেরও তার বাসার সামনে যেতে দেয়া হয়নি। প্রধান সড়ক থেকে সংবাদকর্মীরা খবর সংগ্রহ করেছেন।
এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাকে ‘অবরুদ্ধ’ এবং ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে। আর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় বেগম জিয়ার নিরাপত্তা জোরদারের কথা। তবে এতো নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যেও সেখানে ককটলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিরোধী দলীয় নেতার অবরুদ্ধ অবস্থার বিষয়ে বিএনপির সংসদীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে গত ৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে প্রতিনিধি দল স্পিকারকে স্মারকলিপি দেয়।