অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য
ঢাকা: দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাপা নেতা কাজী জাফর আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান যেভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। তারা সীমা লঙ্ঘন করেছে।’
রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী জাফর আহমেদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিলে তিনি এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেন। এ বিরোধীকে কেন্দ্র করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। আবার কাজী জাফরও পাল্টা এরশাদকে বহিষ্কার করেন। এ অবস্থায় কাজী জাফর শুক্রবার দলের জাতীয় সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ উপলক্ষে তিনি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনকে সমর্থন করে কাজী জাফর বলেন, ‘চলমান আন্দোলনে আমাদের সর্বাত্মক সমর্থন আছে। এ নির্বাচন বাতিল করতে হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় পাঁচ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি দল এবং বেসরকারি দল একাকার হয়ে গেছে। এ বিরোধীদল আসল বিরোধী দল নয়। এ সরকারি দল বিরোধীদলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে একে অপরকে আসন গিফট করছে।’
১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন তামাশার নির্বাচনে পরিণত হয়েছে- দাবি করে তিনি বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ নির্বাচন হাসি-তামাশার নির্বাচনে পরিণত হচ্ছে। বিশ্বের সব দেশ এ নির্বাচনের বিরোধিতা করছে।’
এ তামাশার নির্বাচন ‘গিনেস বুকে’ স্থান পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংলাপ ব্যর্থ হলে দেশের অবস্থা ভয়াবহ হবে- মন্তব্য করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি অর্থবহ, ফলপ্রসূ সংলাপ না হয়, তবে দেশে সংঘাত আরো বৃদ্ধি পাবে। দেশের বর্তমান অবস্থা ভয়াবহ। অনিশ্চিত পথে দেশ চলছে। এটা কোথায় গিয়ে থামবে তা কেউ জানে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপা নেতা গোলাম মসীহ, এসএমএম আলম, টিআইএন ফজলে রাব্বি প্রমুখ।