সাকিব বলেছেন, কোনো ফরম্যাটেই আমি অধিনায়কত্ব করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত নই
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাশরাফি বিন মর্তুজা ২০১৭ সালের এপ্রিলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলে ওই বছরের ডিসেম্বরে সাকিব আল হাসানের কাধে টেস্টের অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। এর পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দায়িত্বও পান তিনি। একটি দলের এই গুরু দায়িত্ব নিয়ে নিজের স্বাভাবিক খেলায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে মনে করেন সাকিব। তিনি মিডিয়াকে বলেন, আমি আসলে কোনো ফরম্যাটেই দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। আমি চাই আগামী চার বছরে দলের জুনিয়র খেলোয়াড়দের বেশি দায়িত্ব দেয়া হোক।
এদিকে সাকিবের বরাত দিয়ে নিউজ পোর্টাল ‘ঢাকাটাইমস’ জানিয়েছে, সাকিব আল হাসান বলেছেন, বর্তমানে দলের অবস্থা ভালো নয়। সুতরাং আমি বুঝতে পারছি যে, দলকে ভালো জায়গায় আনতে আমাকে নেতৃত্ব দিতে হবে। অন্যথায়, কোনো ফরম্যাটেই দলকে নেতৃত্ব দেয়ার আগ্রহ আমার নেই। আমি যদি অধিনায়কত্ব না করি তাহলে নিজের উপর বেশি গুরুত্ব দিতে পারবো। এটিই বরং দলকে বেশি সাহায্য করবে।
সাকিব আরো বলেছেন, আমি চাই দলের জুনিয়র খেলোয়াড়রা বেশি দায়িত্ব নিক। আমরা (সাকিব ও মুশফিক) একেবারে অল্প বয়সে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েছি। দলে এখন জুনিয়র যারা আছে তাদের বেশিরভাগের বয়স এখন ২৬-২৭ বছর। আপনি যদি তাদের দায়িত্ব না দেন তাহলে বুঝতে পারবেন না তারা কী করতে পারে। সামনে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সুতরাং, সামনের চার বছর নিয়ে আমাদের এখনই পরিকল্পনা করা উচিত।
১৩ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে সাকিব এই প্রথমবার অনীহা প্রকাশ করলেন। ২০০৯ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকে মাশরাফির ডেপুটি হিসাবে দায়িত্ব পালন করা সাকিবকে ২০১১ সালে স্থায়ী অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু আট মাস পর তিনি দায়িত্ব হারান। অধিনায়কের দায়িত্ব হারালেও তিনি দলের নিয়মিত পারফর্মার। সর্বশেষ আইসিসি বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন দলের সেরা পারফর্মার। সামনে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা অবসর নিলে ওই ফরম্যাটেও সাকিবকে অধিনায়ক করা হতে পারে।