হোটেলে ভাত খেয়ে টিসুপেপার দিয়ে মুখ মোছার সময় ৩০ জন অজ্ঞান
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজশাহী সিটি পশু হাটে হোটেলে ভাত খেয়ে টিস্যু দিয়ে মুখ মোছার পর অজ্ঞান গরু ব্যবসায়ীদের একজন মারা গেছেন। রোববার সকালের এ ঘটনায় ৩০ গরু ব্যবসায়ী অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।
এদের মধ্যে ছয়জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছিলো। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের নাম জজ মিয়া (৪০)। তার বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলা সদরের শিবপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। রামেক হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
তার মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রামেক হাসপাতালের শবাগারে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রোববারই হোটেল মালিকের ছেলেসহ চার জনকে আটক করা হয়েছিলো। আটকেরা হলো, হোটেল মালিকের ছেলে ফয়সাল হোসেন, কর্মচারী গিয়াস উদ্দিন, সোহরাব হোসেন ও আব্দুল হালিম।
অজ্ঞানের হাত থেকে রা পাওয়া গরু ব্যবসায়ী লিটন শেখ জানান, রবিবার সকালে সিটি পশুহাটে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ীরা হাটের ভিতরের জাফরের হোটেলে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খান।
এর পর ওই হোটেল থেকে প্রত্যেককেই হাত ও মুখ মোছার জন্য টিস্যু দেওয়া হয়। এরপর একে একে অজ্ঞান হয়ে পড়তে থাকেন গরু ব্যবসায়ীসহ ট্রাক চালকরা।
দিনে দুপুরে এমন ঘটনার পরে হাটের অন্য ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা অজ্ঞান হওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ফলে কারো কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা খোয়া যায়নি বলে বলে জানান তিনি।
শাহ মখদুম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, জাফর নামে এক ব্যক্তির হোটেলে খাবার খাওয়ার পরেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ব্যবসায়ীরা অসুস্থ হয়ে পড়লেও সঙ্গে থাকা অন্য লোকজন সজাগ থাকায় টাকা-পয়সা খোয়া যাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।