কক্সবাজার জেলায় সব অপরাধের হোতা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী
জামাল জাহেদ, কক্সবাজার : সবুজ মানচিত্রের বুকে ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ পাকিস্তানিরা হানা দিয়ে সব উলট পালট করে দিয়েছিল বাংলার মানুষের হাসিখুশি থাকা জীবন, দীর্ঘ ৪৩ বছরেও বাংলার মানুষের বুকে শান্তি নাই, বিগত এক যুগ ধরে সাইলেনট কিলারের মতো আমাদের সবুজ বাংলার অর্জিত স্বাধীনতা তিলে তিলে শিকড় গজিয়ে খেয়ে ফেলতেছে আবারো মিয়ানমার দেশের বার্মাইয়া রোহিঙ্গাগোষ্ঠী, অথবা রোহিঙ্গা খ্যাত বার্মার মানুষগুলো।
জেলার অপরাধ জগতে চিরচেনা পারমেন অপরাধী, গোপন তথ্য যাচাই বাচাই এসব বাহিনীর তদন্তের ফলাফলে এটোম্যাটিকলি চলে আসে তাদের নাম সরকারের তালিকায় সব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নাম, জেলার সব অপরাধের সাথে জড়িত এমনকি হত্যা, খুন, ইয়াবা, মানবপাচার, মাদকচক্র মাদকপাচার, হেরোইন, গাঁজা, আফিম, ফেনসিডিল, মদ ব্যবসা, বিদেশি বিয়ার, ধর্ষক, মারামারি, চাঁদাবাজি ডাকাতি, লুট, ছিনতাই, রাহাজানি, হোটেলে অনৈতিক ব্যবসাসহ ইত্যাদির সব কৃতকর্মে রোহিঙ্গারা সরাসরি জড়িত মর্মে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সব জায়গায় রোহিঙ্গাদের ভোটার বানাতে সহায়তা করছেন ৫১ প্রভাবশালী ব্যক্তি। যাদের নাম এখন জেলার মানুষের মুখে মুখে। রাজনৈতিক স্বার্থসহ নানা কারণে এরা অসংখ্য রোহিঙ্গাকে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়েছেন। এদের মধ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং দালাল শ্রেণীর লোকজন আছে। রোহিঙ্গাবান্ধব ওই ৫১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। চিঠির সঙ্গে ৫১ জনের নাম ও ঠিকানাসহ প্রতিবেদনও পাঠানো হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল এবং ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, কক্সবাজার জেলায় রোহিঙ্গাদের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়ছে।
নাফ নদী পার হয়ে তারা সরাসরি কক্সবাজার জেলায় এসে আশ্রয় নিচ্ছে। পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে বান্দরবানসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা ডুকে পড়ছে মহেশখালি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। সরকারের নীতিনির্ধারণী সূত্র নিশ্চিত করেছে কক্সবাজার ও বান্দরবানে অবস্থানরত ৪৩৮ রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন। মহেশখালির সব ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় হাজারো রোহিঙ্গারা ভোটার হয়ে গেছে বলে ছোট মহেশখালির চেয়ারম্যান মোস্তফা জয় পরাজয় কে জানায়।
এদের নাম বাদ দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার ও তিনি দাবি জানায় সে।এর বাইরেও অনেক রোহিঙ্গা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে। যারা স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। বাংলাদেশে ভোটার, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রয়োজনে পাসপোর্টও সংগ্রহ করেছে। এরা বিদেশে গিয়ে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে অথচ দোষটা আমাদের দেশের গাড়ে। এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
এদের কারণে বিশ্বের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাবমূর্তি নষ্ট ও হুমকির মুখে,তাদের কারনে আজ মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশ আজ বাংলাদেশকে ভিসা দিতে রাজি নয় বলে প্রবাসীর অভিযোগ।যেমন দুবাই, কাতার, সৌদিআরব, বাহরাইন, ওমান, মালেয়েশিয়া ইত্যাদি দেশে বাংলাদেশ মানে বিষফোঁড়া। আগামীতে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জেলার ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করে তাদের নাম বাদ দেয়া দরকার বলে সচেতন মহলের অভিমত। কক্সবাজারে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিকেরা বলেন, জেলার রোহিঙ্গা মানুষগুলো মার্ক করে কার্ড ইস্যু করে মাসিক টাকা নেওয়া, বাংলার ভূমি ব্যবহার করলে টাকা দিতে হবে। অপরদিকে বাহারছড়ার আমির হোছেন জানায়, সদর হাসপাতালে এলাকার স্থায়ী জনগণেরা চিকিৎসা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই, সব বার্মার মানুষেই দখল করেছে সমসত ওয়ার্ড।
এসব রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে উখিয়ার কুতুপালং, টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবির, কুতুপালং, বছরের পর বছর বসবাস করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় স্থায়ীভাবে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থান ও বনভূমি দখল করে। অর্থের বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে নাগরিকত্ব সনদ/জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়াও বাংলাদেশি ছেলে-মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে শ্বশুরকুলের পরিচয়েও অনেক সময় নাগরিক সনদ ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।
এসব কাজের ফলে সোনার বাংলা, নিরাপদ বাংলা আজ বার্মাইয়া শকুনের আগাতে দিনের পর দিন ক্ষত বিক্ষত, রোহিঙ্গা অপরাধের বেড়াজালে প্রশাসন ও আজ সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে এবং রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হওয়াসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে রোহিঙ্গারা সোনার বাংলাদেশে অপরাধীর বীজ বুননে ব্যস্ত থাকবে বলে সচেতন মহলের অভিমত, তা নিয়ে শংকিত দেশের মানুষ।