বি. চৌধুরীও সংলাপে যোগ দিতে চান, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি
ডেস্ক রিপাের্ট : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপের আগ্রহ প্রকাশের পর এবার সংলাপে যোগ দিতে চাইছে ঐক্যফ্রন্ট থেকে ছিটকে পড়া বিকল্পধারাও।
ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংলাপের বিষয়টি যখন চূড়ান্ত, তখন মঙ্গলবার বিকালে সংলাপের আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠান বিকল্পধারার প্রধান চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চিঠিটি ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছানো হয়। সেটি গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে একই চিঠি পাঠান বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান।
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসেন। পরদিন ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা সংলাপে বসতে রাজি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর চিঠি যায় কামাল হোসেনের কাছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফ্রন্ট নেতাদেরকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। আর ফ্রন্টের ১৬ নেতা যাচ্ছেন এই সংলাপে।
এর মধ্যে বিকল্পধারার পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বদরুেেদ্দাজা চৌধুরীর প্রেস সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম বৈঠকে গৃহীত এক প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। এরই আলোকে প্রধানমন্ত্রীকে বি. চৌধুরী চিঠি লিখেন।’
সন্ধ্যা ছয়টায় আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে চিঠি নিয়ে গেছেন বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রউফ মান্নান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।’
গত ১৩ অক্টোবর গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিকল্পধারারও যোগ দেয়ার কথা ছিল। এ জন্য ড. কামাল হোসেন এবং বি. চৌধুরীর মধ্যে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। তবে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার শর্ত দিয়ে শেষ মুহূর্তে এই জোট থেকে ছিটকে পড়েন বি. চৌধুরী। পরে তিনি জানিয়েছেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে কোনো জোটে যাবেন না।
বি. চৌধুরীর চিঠিতে যা লেখা –
বিকল্পধারার চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ‘আমরা খুশি হয়েছি আপনি নির্বাচন সম্পর্কীয় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে রাজনৈতিক সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা আপনাকে যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
‘আমরা লক্ষ্য করে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি, রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই, সেই প্রস্তাবটি আপনি গ্রহণ করেছেন।’
‘ইনশাআল্লাহ, বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনার সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপে বসার জন্য আপনার সময় ও সুবিধা মতো আমাদের আমন্ত্রণ জানালে আমরা খুশি হব।’
‘জাতির এই রাজনৈতিক ক্রান্তিলগ্নে আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ও সৌহার্দ্যরে মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে বিশ্বাস করি।’