জয়পুরহাট ৩৭ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত
জয়পুরহাট: ৩৭ কোটি টাকার অবিক্রিত চিনি মজুদ রেখেই ৬ ডিসেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম জয়পুরহাট চিনিকলের আসন্ন আখ মাড়াই মৌসুম-২০১৩।
৭ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চিনিকলটি আখ মাড়াই শুরু করবে। মাড়াই মৌসুম চলবে ৬৭ দিন।
তবে বিগত দুই বছর ৩৭ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত থাকায় নতুন করে আর্থিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে চিনিকলটি। চিনি বিক্রি না হওয়ায় আসন্ন মাড়াই মৌসুমের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি কেনা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা, চাষিদের আখের মূল্য পরিশোধ করা ও চিনি রাখা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
উৎপাদন ক্ষমতার দিক থেকে জয়পুরহাট চিনিকলে ২০১২-১৩ মাড়াই মৌসুমে চিনি উৎপাদন হয়েছে ৫ হাজার ২৫৪ মেট্রিক টন। এর আগের বছরের অবিক্রিত চিনি রয়েছে ২ হাজার ১৯২ মেট্রিক টন। এ নিয়ে গত দুই মৌসুম মিলে অবিক্রিত রয়েছে ৭ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন চিনি। যার মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি টাকা।
১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার গুদামে প্রায় ৭ হাজার মেট্রিক টন চিনি রয়েছে। ফলে আসন্ন মৌসুমে উৎপাদিত চিনি রাখা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চিনি বিক্রি না হওয়ায় আসন্ন মৌসুমে চাষিদের আখের মূল্য পরিশোধ, প্রয়োজনীয় মালপত্র কেনা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
জয়পুরহাট চিনিকলের ডিলার সামসুল আলম জানান, মিল গেটে প্রতি কেজি চিনির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। যা বাজারের রিফাইনারি চিনির দামের চেয়ে বেশি। ফলে চিনিকলের স্থানীয় ১৭ ডিলারের কেউই তাদের জন্য নির্ধারিত চিনি তুলছেন না।
জয়পুরহাট আখ চাষি কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক হারুন-অর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, চিনিকলটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বিষয়টি নিয়ে নীতি নির্ধারক পর্যায়ে চিন্তা-ভাবনা করা দরকার।
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুস সালাম বলেন, চিনি বিক্রি না হওয়ায় ভবিষ্যতে চিনিকলটি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
গুদামে অবিক্রিত চিনির মজুদ থাকায় এ মৌসুমে উৎপাদিত চিনি রাখার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।