পারলাে না বাংলাদেশ-সিরিজ জিতে নিলো ইংল্যান্ড
ক্রীড়া প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং কল্যাণে ২৭৭ রানের ইনিংসে সিরিজ জয়ে আশান্বিত হয় দেশবাসী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাতটা নিজেদের করে নিতে পারলো না মাশরাফিবাহিনী। সিরিজের শেষ ম্যাচটি হারলো ৪ উইকেটে। ফলে টানা সাতটি সিরিজ জেতার স্বপ্নপূরণ হলো না বাংলাদেশের। চট্টলার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পরে ব্যাট করে সর্বোচ্চ ২২৬ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে এই ইংল্যান্ডের বিপইে সেটা করে দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার পরে ব্যাট করে ২৭৭ রান তাড়া করে (২৭৮) রাতটা নিজেদের করে নিলো ইংল্যান্ড।
বিলিংস (৬২) ডুকেট (৬৩), স্টকস (৪৭) ও ওয়েকসের (২৭) রানে ইংল্যান্ড জিতে ৪ উইকেটে।
মুশফিকুর রহিম, যিনি নিখুঁত ব্যাটিংয়ের প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডের সামনে তার কল্যাণেই ২৭৮ রানের ল্য দিয়েছে বাংলাদেশ। ২৫তম ওভারে দলের ১২২ রানের মাথায় মাহমুদউল্লাহর বিদায়, এর পরই উইকেটে আসেন মুশফিক। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখেছেন সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান আর নাসির হোসেনের বিদায়। কিন্তু তিনি উইকেটে ছিলেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ১৯২ রানে সপ্তম উইকেটের পতন। মুশফিক তাতেও দমে যাননি। অষ্টম উইকেটে নবীন মোসাদ্দেককে নিয়ে গড়লেন ৮৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ইংল্যান্ডের সামনে তাতে যেন রানের পাহাড়ই দাঁড়িয়ে গেল।
এর আগে সিরিজ জিততে ইংল্যান্ডকে ২৭৮ রানের ল্য দেয় বাংলাদেশ। বন্দর নগরী চট্টগ্রামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ২৭৭ রান করে টাইগাররা। সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন মুশফিক। এছাড়া সাব্বির ৪৯, ইমরুল ৪৬ ও তামিম ইকবাল ৪৫ রান করেন। ইংলিশদের হয়ে ৪৩ রানে ৪ উইকেট নেন লেগ স্পিনার আদিল রশীদ।
দুপুরে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরস্থির ভাবে শুরু করেন তামিম ও ইমরুল কায়েস। শুরুতে ইংলিশ পেসার সুইং আর বাউন্স পেলেও দারুণ খেলতে থাকেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। টার্ন পেয়েছেন স্পিনার মঈন আলীও। দলীয় ৮০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বেন স্টোকসের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪৬ রান করা ইমরুল কায়েস। এরপর সাব্বির রহমানকে নিয়ে ২৬ রানের জুটি বাঁধেন তামিম ইকবাল। এই জুটিতেই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইলফলকে পা রাখেন তামিম। অবশ্য এরপর বেশিণ উইকেটে টিকেননি তামিম। আদিল রশীদের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে ৪৫ রান করে আউট হন তিনি। তামিমের বিদায়ের পর দলীয় ১২২ রানে রশীদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তামিমের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৪ রান যোগ করেন মুশফিক ও সাব্বির। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে আদিল রশীদের তৃৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাব্বির। উইকেটে এসে বেশিণ থাকতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। মঈন আলীর বলে বাটলারের স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি। আউট হবার আগে ৭ বলে মাত্র ১ রান করেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
৪১তম ওভারে এসে দলীয় দুইশ রান পূর্ণ করে বাংলাদেশ। সাকিবের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিম ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৭৭ রানের বড় স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।