‘জামায়াতকে চিরতরে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে’
ডেস্ক রিপোর্ট : জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সরকার আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সরকার এ বছরই সংগঠনটির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দলটির একাধিক সূত্র। এমনকি আদালত বা নির্বাহী আদেশেও দলটি এ বছরই নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানায় সূত্রটি। যার ইঙ্গিত স্বরূপ রাজনৈতিক দল হিসেবে ইতোমধ্যেই জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পরিস্থিতি বিবেচনা করেই জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই সরকারের অনুকুলে রয়েছে বলেও মনে করেন ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠনটিকে আর কোনোভাবেই ছাড় দেয়া যায় না। এখন সরকারের সুবর্ণ সুযোগ জামায়াতের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকার তাই করতে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে জামায়াত সাংগঠনিক ও রাজনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, জামায়াত-শিবিরের মাজা ভেঙে দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন জামায়াতকে আর কখনই সোজা হয়ে দাঁড়াতে দেয়া হবে না। জামায়াতের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তও আসন্ন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি চিরতরে নিশ্চিহ্ন করতে চাই। দেশবিরোধী সংগঠন জামায়াতের রাজনীতি নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তি নেই। সেই পরিকল্পনা নিয়েই আমরা এগোচ্ছি বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর কোনো অপশক্তি যেন এগিয়ে যাওয়ার সেই গতি থামাতে না পারে, সে জন্য প্রস্তুত রয়েছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি দেশ ও দেশের জনগণের উন্নয়নের বাঁধা সৃষ্টিকারী দেশবিরোধীদের সর্বশক্তি দিয়ে সমূলে ধ্বংস করতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।