খালেদার জন্য ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ
নিজস্ব প্রতিবেদক : কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য তিনটি আসনে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন দলের নেতারা।
সোমবার সকালের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চেয়ারপারসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কেনার মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
খালেদা জিয়ার জন্য যে তিনটি আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলো হলো: ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭।
২০০৮ সালের আগে প্রতিটি নির্বাচনে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে নির্বাচন করেন। প্রতিবারই সবগুলো আসনে তিনি বিজয়ী হন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ২০০৮ সাল থেকে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যায়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির মধ্যেও খালেদা জিয়া তিনটি আসনেই বিজয়ী হন।
২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি অবশেষে গতকাল রবিবার নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিয়েছে। আজ থেকে দলটি মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে। তবে একটি দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে আদৌ অংশ নিতে পারবেন কি না তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
ফেনী খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ি। আর বগুড়ায় তার শ্বশুর বাড়ি। বরাবরই এই দুই জেলা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন খালেদা জিয়া। এবার শেষ পর্যন্ত কোনো কারণে খালেদা জিয়া ভোটে অংশ নিতে না পারলে তার পরিবারেরই কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার সকাল থেকে মনোনয়ন ফরম কিনছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। ফরম দেয়া হচ্ছে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে।
এবার মনোনয়ন ফরমের দাম ধরা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে সংগ্রহ করতে হবে এবং ২৫ হাজার টাকা দিয়ে জমা দিতে হবে। জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৪ নভেম্বর। তবে কেউ চাইলে ১৩ নভেম্বরও জমা দিতে পারবেন।
অবশ্য দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় খালেদা জিয়া ভোটে দাঁড়াতে পারবেন কি না এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুৃবে আলম জানিয়েছিলেন, ‘বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দুর্নীতি মামলায় দুই বছরের বেশি দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। বিচারিক আদালতে এক মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ড হয়েছে সাত বছর। আরেক মামলায় উচ্চ আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আপিলও করেননি বিএনপি নেত্রী।
যদিও বিএনপি মনে করছে দণ্ড স্থগিত করিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ রয়েছে।