স্বামীকে গাছে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ
ডেস্ক রিপাের্ট : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বটতলা-কার্তিকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- পুঠিয়ার বড় কাজুপাড়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে নবীর উদ্দিন, জাকের উদ্দিনের ছেলে মিজান আলী, আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে আজিজুল ইসলাম, আবু সাঈদের ছেলে মিজানুর রহমান, আফসার আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম, ছোট কাজুপাড়া গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন এবং গোপালপাড়া গ্রামের মহররম আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম।
নির্যাতিত গৃহবধূর বরাত দিয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া জানান, নির্যাতিত ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে। বুধবার দিবাগত রাতে স্বামীর সঙ্গে বাবার বাড়ি থেকে ভ্যানে চড়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে জিউপাড়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকার একটি নির্জন স্থানে আসার পর আটক ব্যক্তিরা ভ্যান থামিয়ে তাদের জোর করে নামান। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের রাস্তা থেকে একটু দূরে মাছ চাষি মিজান আলী ও নবীর উদ্দিনের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধূর স্বামীকে একটি গাছের সাথে বেঁধে রেখে তাকে গণধর্ষণ করে।
নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী জানান, রাত আটটার দিকে পুকুরপাড়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর সাত থেকে আটজন তার স্ত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে অনেক অনুরোধের পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। ঘটনা কাউকে জানালে তাদের প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়। তবে ওই রাতেই তারা থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান। অভিযুক্তদের মধ্যে তারা শুধু মিজান ও নবীরকে আগে থেকে চিনতেন।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া জানান, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান মিজান ও নবীরকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গৃহবধূ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
এছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নির্যাতিত গৃহবধূকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি।