গুলশান, শোলাকিয়ায় হামলাকারীরা আবার ভয়াবহ হামলা চালাতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক : গুলশান, শোলাকিয়ায় হামলাকারী সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী গোষ্ঠী আবারও বড় ধরনের ভয়াবহ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার আয়োজনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জশনে জুলুস ও আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, সাম্প্রাদিয়ক উগ্রবাদীরা উপরে নিষ্ক্রিয় ভিতরে সক্রিয় রয়েছে। গুলশান, শোলাকিয়ায় সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদীরা হামলা করেছিল এরপর ধারাবাহিকভাবে পুলিশি অভিযানের ফলে তারা এখন নিষ্ক্রিয় এবং দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু তলে তলে তারা আরও বড় ধরনের ভয়াবহ প্রস্তুতি হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না সেটা কি আমরা জানি? তাই আমার মনে হয় তারা উপরে উপরে নিষ্ক্রিয় কিন্তু ভিতরে ভিতরে সক্রিয়।’
‘আবার হয়তো তারা বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই আমাদের নাকে তৈল দিয়ে ঘুমালে চলবে না, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। খণ্ড খণ্ড প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধ করে লাভ নেই। এদের মোকাবেলা করতে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমরা বাংলাদেশে শান্তি চাই, স্থিতি চাই। আমাদের ধর্মের বাণী মতে আমরা দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখেছি। যারা সন্ত্রাস করে, উগ্রবাদী তৎপরতায় লিপ্ত হয় তাদের প্রতিরোধ করা আমাদের সকলের পবিত্র দায়িত্ব। শান্তির শত্রুদের প্রতিহত, প্রতিরোধ এবং পরাজিত করতেই হবে। এটা ইসলামের শিক্ষা।
তিনি বলেন, ‘আজকে সন্ত্রাসী ততপরতা বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের দেশেও কিছু ঘটেছে। যারা পবিত্র ঈদের দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, তারা কখনো ইসলামের বন্ধু হতে পারে না। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা মুসলমান হলেও ইসলামের লোক হতে পারে না। তারা মুসলিমদের শত্রু।’
‘আমি এখানে লম্বা বক্তৃতা দিব না। আমি ধর্ম বিষয়ে বিশ্বাস করি এবং পালন করি। আমি পবিত্র হজ পালন করেছি, যদিও আমি নামের আগে হাজী লিখি না, দরকার নাই। এটা আমার কর্তব্য। তার জন্য হাজী লিখতে হবে? কিন্তু অনেকেই লিখে।’
‘শেখ হাসিনা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েন, তিনি শান্তির পথে আছেন। তাই তার মতো শাসক বাংলাদেশের মুসলামানসহ সমগ্র দেশবাসী চায়।’
আঞ্জুমানের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসনী ওয়াল হোসাইনী মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।