মাহমুদউল্লাহর ওভারে খুলনার জয়
ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের পঞ্চম দিনের প্রথম ম্যাচে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পেয়েছে খুলনা টাইটানস। শনিবার (১২ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১২৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের চিটাগাং ভাইকিংস নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে১২৩ রান। ফলে ৪ রানে আসরের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা।
এদিন রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম জয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে চিটাগাংয়ের বিপক্ষে জয়ে। আগের ম্যাচের (রাজশাহী) মতো এদিনও ডেথওভারে বল হাতে নিয়ে দারুণ চমক দেখিয়েছেন জাতীয় দলের নির্ভযোগ্য অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একাই তুলে নিয়েছেন ৩ টি উইকেট। মূলত তার বোলিং কৌশলের কাছেই এদিন জিতে যাওয়া ম্যাচ হেরেছে তামিমের চিটাগাং। সেই সুবাদে এদিন ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
এদিন শেষ ওভারে যখন জয়ের জন্যে তামিমদের ৬ বলে ৬ রান দরকার ছিল, তখনই বল হাতে আসেন খুলনা অধিনায়ক রিয়াদ। ওভারের দ্বিতীয় বলেই তুলে নেন চিটাগাংয়ের আফগান রিক্রুট মোহাম্মাদ নবীর সাথে জুটি গড়া লঙ্কান অলরাউন্ডার চাতুরাঙ্গে ডি সিলভার উইকেট। ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে ডি সিলভা করেন ১৯ রান। চতুর্থ বলে এবাররিয়াদের শিকার হন আব্দুর রাজ্জাক। তিনিও (রাজ্জাক) শুভাগতের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। এই সুযোগে স্টাইক পান নবী। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। শেষ বলে চিটাগাংয়ের জয়ের জন্য যখন ১ বলে ৫ রান দরকার, তখন উচু করে মারতে গিয়েও নবী ধরা পড়েন ডিপমিডউইকেটে। ক্যাচটি ধরেন অলক কাপালী। আর সেই সাথেই জয় উদযাপনে মেতে ওঠে খুলনা শিবির। চিটাগাংয়ের পক্ষে নবীই করেন সর্বোচ্চ ৩৯ রান।
খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম। এছাড়া ৩ ওভার বল করে ৩ টি উইকেট নেন রিয়াদ।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী কিংসের বিপক্ষেও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ মুহূর্তে মাহমুদউল্লার কৃতিত্বেই ৩ রানে জয় পায় খুলনা। এ জয়ের দিনও রিয়াদ শেষ ওভারে একাই তুলে নিয়েছিলেন তিনটি উইকেট।
এর আগে এদিন(শনিবার) দুপরে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় চিটাগাং অধিনায়ক তামিম। ফলে, আমন্ত্রণ পেয়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে খুলনা সংগ্রহ করে ১২৭ রান।
খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ করেছেন ২৯ রান করেছেন নিকোলাস পুরান। ২৮ রান এসেছে ওপেনার রিকি ওয়েসেলসের ব্যাট থেকে। এছাড়া, আরিফুল হক করেছেন অপরাজিত ২৫ এবং আলক কাপালি করেছেন ২৩ রান।
চিটাগাংয়ের পক্ষে সের্বাচ্চ ৩ টি উইকেট নিয়েছেন দলটির আফগান রিক্রুট মোহাম্মদ নবী। এছাড়া তাসকিন নিয়েছেন ২টি ও আব্দুর রাজ্জাক নিয়েছেন ১টি উইকেট।
খুলনা টাইটানস একাদশ : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আব্দুল মজিদ, নিকোলাস পুরান, শুভাগত হোম, আরিফুল হক, অলক কাপালী, মোশাররফ হোসেন রুবেল, রিকি ওয়েসেলস, মোহাম্মদ আসগর, জুনায়েদ খান ও শফিউল ইসলাম।
চিটাগাং ভাইকিংস একাদশ : তামিম ইকবাল, দোয়ান স্মিথ, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ নবী, এনামুল হক, তাসকিন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, জাহারুল ইসলাম, তিমাল মিলস, জাকির হোসেন ও নাজমুল হোসেন মিলন।