দু’জনের প্রেমের শুরুটা ছিল প্যারিসে
বিনোদন ডেস্ক : স্ত্রী সুজান খানের সঙ্গে হৃতিক রোশনের বিচ্ছেদ হয় ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। এতদিন গড়ানোর পর কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি তার সঙ্গে কোনো নারীর প্রেম ছিল। এখন সব গোপন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বিয়ে বিচ্ছেদের পেছনে ‘কাইটস’ ছবির নায়িকা বারবারা মোরির নামটা উঠে এলেও সেটা সবার ধারণা ছিল। মূলত ছবির আরেক নায়িকা কঙ্গনা রানাউতের প্রেমে পড়েছিলেন বলেই সুজানকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন হৃতিক। সময়টা ২০০৯ সালের। তখন ‘কাইটস’-এর শুটিংয়ে প্যারিসে গিয়েছিলেন হৃতিক ও কঙ্গনা। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ঘনিষ্ঠ হয় সম্পর্ক। আর তখনই একে অপরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, প্যারিস শহরে বসেই হৃতিক কঙ্গনাকে ভালোবাসার কথা জানান। তখন সুজানের সঙ্গে রাকেশ রোশন পুত্রের মনোমালিন্য চলছিল। হৃতিকের প্রতি কঙ্গনার দুর্বলতা থাকলেও সেটা তিনি শুরুতেই প্রকাশ করেননি। সময় নিয়েছেন। বন্ধুত্বপূূর্ণ সম্পর্কটা ধরে রেখেছেন। এর কিছুদিন পর যখন কঙ্গনার সঙ্গে আবারও জুটি বেঁধে ‘কৃষ থ্রি’ ছবিতে অভিনয় করেন তখন আবারও হৃতিক প্রস্তাব দেন। এবারও সহজে আবেগের কাছে হার মানেননি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।
ঠিক ছয় মাস পর হৃতিকের প্রেমে সাড়া দেন। আর সেটা সুজানকে ডিভোর্স দেয়ার পর। সব ঠিকঠাক চলছিল। প্রেমটাকে বিয়েতে রূপ দিতে চেয়েছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু কুইনের এ প্রস্তাবে সাড়া দেননি হৃতিক। যার ফলে চুপি চুপি শুরু হওয়া সম্পর্ক ভেঙেও যায় চুপিচুপি। এরপর থেকেই একে অপরের যুদ্ধ। সম্প্রতি ‘আশিকী থ্রি’-তে নায়িকা হিসেবে কঙ্গনাকে নেয়ার কথা থাকলেও হৃতিকের কারণে সেটা হয়নি। তারই সূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, গণমাধ্যমে একে অপরের ‘বুলি ছোড়াছুড়ি’ চলছে। শুধু কি তাই, সেটা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বাকযুদ্ধের কারণে হৃতিক-কঙ্গনা একজন আরেকজনকে পালটাপালটি আইনি নোটিশ পর্যন্ত পাঠিয়েছেন। সেটা চলছে তো চলছেই। এখন বলিউডের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের সবার আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন হৃতিক ও কঙ্গনা।