ছেলেদের আত্মসমর্পণের জন্য বাবার আহ্বান
আন্তজাতিক ডেস্ক : একজন সৌদি পিতা তার দুই ছেলেকে অবিলম্বে^ প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান জানান। গত বছরের আগস্ট মাসে আসির অঞ্চলে স্পেশাল ইমার্জেন্সি ফোর্সের একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত থাকার জন্য সন্দেহভাজনদের তালিকায় তাদের নাম প্রকাশ হয়েছে। খবর- আরব নিউজ
সালেম ইয়াসলাম আল-সাইয়ারি একটি স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেন, তার ছেলেরা জিহাদের নামে নিরিহ শিশুদের রক্তে তাদের হাত রাঙাচ্ছে।
’’আমি নিন্দা জানাই আমার পুত্র তাইয়ি এবং মুতিইয়া যেসব সংগঠনের হয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে সেসব সংগঠনকে। কারণ তারা নিষ্পাপ মানুষদের হত্যা করছে।”
তিনি তার এক ছেলে তাইয়ি সম্পর্কে বলেন, ”সে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের খরচে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ নিইজিল্যান্ডে লেখাপড়া করত। সে পড়ালেখায় খুবই ভাল ছিল। কিন্তু দুই থেকে আড়াই বছর আগে সে যখন জিহাদের জন্য সিরিয়া গেল তখন আমি খুবই অবাক হলাম।”
এটি জানার পর আল-সাইয়ারি তার ছেলে তাইয়ি কে টেলিফোন করে বলেন, তিনি তার জিহাদে যোগ দেয়ায় তিনি খুবই নাখোশ।
তিনি আরো বলেন ”যখন দেখলাম স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রনালয়ের সন্ত্রাসী সন্দেহভাজনের তালিকায় তার নাম আছে তখন আমি খুবই অবাক হলাম। এই খবরটি দেখার পর আমি ধাক্কা খেলাম কারণ সে দেশ ও দেশের সাধারন মানুষের ধ্বংস ও প্রাণনাশের সাথে হাত মিলিয়েছে। আমি আরো জানতে পারি সে সে একজন সিরিয়ান নারীকে বিয়ে করেছে যার একটি শিশু ছিল।”
আল-সাইয়ারি তার আরেক ছেলে মূতিইয়ার ব্যাপারে বলতে গিয়ে বলেন মুতিইয়া দাম্মাম এর একটি কারিগরি কলেজে পড়ছিল। ”সে আমাদের সম্পত্তির দেখাশুনা করত। গত বছরের শেষ শেষের দিকে দক্ষিণ সীমান্তে আমাদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হাউথি আগ্রাসন সংগঠনের সংঘর্ষের সময় তার এক চাচাতো ভাই এর মাথায় আঘাত লাগে। সে তার চাচাতো ভাইকে খামিস মুসহায়েত হাসপাতলে দেখতে যাওয়ার জন্য আমার কাছে অনুমতি চায় ।
এবং একদিন পর সে চলেও যায় এবং আমাকে একটি চিঠি পাঠায় যেটি দেখে খুবই অবাক হই। সে তার চিঠিতে আমাকে জানায় সে ইয়ামেনের হয়ে যুদ্ধ করবে বলে এই রাজ্য ছেড়ে চলে যায় এবং সে পলাতক আসামী এমনকি তার জেল হতে পারে।
চিঠি পাওয়ার পর তিনি থানায় গিয়ে তার ছেলেকে সংঘাতপূর্ণ স্থান ইয়ামেনে যাওয়া থেকে বিরত করার জন্য তাদের সাহায্য চান। কিন্তু তিনি তাকে আর খুঁজে পায়নি। এবং আমরা থানায় গিয়ে আসির মসজিদে হামলায় অংশগ্রহণকারীদের তালিকায় তার নাম দেখি।