‘১০ দিন পরে বিএনপির কাউকে মাঠে পাওয়া যাবে না’
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ৫ মে’র হেফাজতের মতো পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুলশানে ওঁত পেতে বসে আছেন।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা খাজা নাজিমউদ্দিন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি আরো বলেন, ‘তাবলীগ জামাতের দ্বিতীয় কিস্তি আখেরি মোনাজাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের সুর নরম হবে না। কারণ হেফাজতের মতো পরিকল্পনা নিয়ে খালেদা জিয়া এখনো ওঁত পেতে বসে আছেন।’
গত ৫ মে হেফাজতের সমাবেশের অনুমতির প্রসঙ্গ টেনে কামরুল বলেন, ‘ন্যাড়া বেল তলায় একবারই যায়। বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি কি ছিল ৫ মে’র মতো সন্ত্রাসীকাণ্ড চালোনোর জন্য। খালেদা জিয়া এখনো ৫ মে’র হেফাজতের মতো পরিকল্পনা নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে বসে আছেন।’
কামরুল বলেন, ‘১০ দিন পরে আন্দোলন করার জন্য বিএনপির কাউকে মাঠে পাওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যা করা দরকার তাই করবে। পালিয়েও পার পাবেন না বিএনপি নেতারা। খালেদা জিয়া মনে করছেন বিদেশি বন্ধুরা তাকে সাহায্য করবেন। আপনাদের মিথ্যচারের চরিত্র তারা জেনে গেছে। কেউ আপনাদের সাহায্য করবে না।’
বিএনপির আলোচনা ও সংলাপের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কামরুল বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কিসের আলোচনা বা সংলাপ? যেমন কুকুর তেমন মুগুর দিতে হবে। লাদেন, আল-কায়েদা, আইএসআই’র সঙ্গে যেমন আলোচনা হয় না, তেমন বিএনপি-জামায়াতের মতো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গেও আলোচনা হয় না।’
বিজিবি প্রধানকে ধন্যবাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিজিবি প্রধানকে আমি স্যালুট জানাই। তার বক্তব্যের সমালোচনা করছে কিছু তথাকথিত আইনজীবী ও বুদ্ধিজীবী। এরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরে সুরে কথা বলেন। এসব বুদ্ধিজীবীই বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ত্রৈমাসিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘কারো হাতে পেট্রোলবোমা দেখলে বিজিবি সদস্যরা অবশ্যই অস্ত্র তুলে নেবে। কারণ একজনের পেট্রোলবোমায় হয়তো পাঁচজনের জীবন চলে যাবে। তাই তাকে দমন করাটাই শ্রেয়।’
চলমান পরিস্থিতিকে বিএনপির সঙ্গে যুদ্ধ উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কামরুল বলেন, ‘এ পরিস্থিতির পরিকল্পনা ও টাকা দিচ্ছেন খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল। আর কাজ করছে বাড়াটে সন্ত্রাসীরা। এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তবে, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। এই সব সন্ত্রাসীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করবেন। এটা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির সঙ্গে আমাদের একটা যুদ্ধ।’
সংগঠনের সহ-সভাপতি ড. ইনামুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আখতারুজ্জামান, শাহে আলম মুরাদ, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।