মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বললেন- যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রক্রিয়া শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রচলিত আইনে সম্ভব না হলে নতুন আইন তৈরি করে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে মঙ্গলবার ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র-২০১৫’ বিষয়ক অনুষ্ঠানের ১ম পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সার্ক চলচ্চিত্র সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মীয় দল হিসেবে আগামীতে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ রাজনৈতিক অধিকার পাবে না। এ দলকে নিষিদ্ধ করার জন্যও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে।’
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পাকিস্তানী চেতনায় বিশ্বাসীরা সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হয়নি। তারা পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারেনি। তাই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিলে তারা স্বরুপে আভির্ভূত হয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত ও বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তারা বিদেশীদের হত্যার পথ বেছে নিয়েছে। দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে চায় তারা। কিন্তু তাদের এ অপচেষ্টা সফল হবে না। কারণ এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই অন্ধের হাতি দেখার মতো বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখেছি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক জীবনের ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘কোনো শিক্ষিত মানুষ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে না। নেগেটিভ নিউজ অলওয়েজ নিউজ। কিন্তু পজেটিভ ঘটনা অনেক ক্ষেত্রেই নিউজ হয় না।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন—সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি লায়ন সাখাওয়াত হোসেন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শফি কামাল, সাইফ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক সেলিম রেজা প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রেদুয়ান খন্দকার। অনুষ্ঠানে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।