adv
২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাগরজলে দেখতে সোনার মতো জ্যান্ত লবস্টার

Lobstarআন্তর্জাতিক ডেস্ক : বড়সড় একটি লবস্টার। চকচকে সোনালি রং তার। দেখে যে কারও মনে হবে স্বর্ণ দিয়ে মোড়ানো তার পুরো শরীর। স্কটল্যান্ডের ইস্ট লোথিয়ানের ডানবারের কাছে মিলেছে এই সোনালি লবস্টার। 
বিরল প্রজাতির এ লবস্টারটি ধরেছেন এডি ডুগাল নামের এক ব্যক্তি। 
গবেষকদের ধারণা, অবিশ্বাস্য রং ও শোভা বর্ধনকারী এ লবস্টার ৫০ লাখে মাত্র একটি হতে পারে। লবস্টারটি বর্তমানে স্কটল্যান্ডের ফাইফের উত্তর কুইন্সফেরির ডিপ সি ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়ারিয়ামে রাখা হয়েছে।
অ্যাকুয়ারিয়ামের এক মুখপাত্র মাইকেল মরিস জানান, সোনালি লবস্টারে এ রং সম্পর্কে কেউই পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তবে তা জিনগত বা বাইরের কোনো উদ্দীপকের প্রতি প্রতিক্রিয়ার কারণেও হতে পারে। 

Lobstar-1মরিস আরও বলেন, আমরা এটাও জানিনা খোলস পরিবর্তনের পরও কি এর রং এমনটাই থাকবে নাকি সাধারণ নীল রং হয়ে যাবে।  অ্যাকুয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষ জানায়, সোনালি বিরল এ চিংড়িটি স্থানীয় জলজ প্রাণী প্রদর্শনীতে দেওয়ার আগে কয়েকদিন এটিকে সংরক্ষিত এলাকায় রাখা হবে। লবস্টার বা গলদা চিংড়ি পৃথিবীর আদি প্রাণীদের মধ্যে একটি। এখন থেকে একশ’ মিলিয়ন বছর আগে এদের ফসিল পাওয়া গেছে। কোনো কোনো গলদা চিংড়ি ৬০ বছরেরও বেশি সময় বাঁচে।  
এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের স্কারবোরো উপকূলে পাওয়া গেছে এমনই বিরল আরও এক লবস্টার। যার নিচের অংশের অর্ধেক কালো ও অর্ধেক কমলা রঙের। গবেষণা করে দেখা যায়, ৫০ মিলিয়নে মাত্র একটি গলদা এমন হয়। 
লবস্টার ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুযায়ী, এরা সোনালি লবস্টারের চেয়েও দশগুণ বেশি বিরল শ্রেণীর। ইনস্টিটিউটের দেওয়া তথ্যমতে, আলবিনো লবস্টার সবচেয়ে বিরল লবস্টার। এরা একশ মিলিয়নে ধরা পড়ে মাত্র একটি।
মেইন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী অ্যাডাম বাউকাস  জানান, স্প্লিট লবস্টার সবচেয়ে ব্যতিক্রমধর্মী গলদা চিংড়ির প্রজাতি। এদের পুরো শরীর বাদামি এবং লেজ ও নখের অংশ আলাদা রং হয়। 
২০১০-এ এমন একটি লবস্টার ধরা পড়েছিলো পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের ব্রিডলিংটনে। পরে এটিকে স্কারবোরো সি লাইফ সেন্টারে রাখা হয়।
গলদা চিংড়ির রঙের ভিন্নতার কারণ –
সাধারণত ৫০ মিলিয়নে একটি লবস্টারের ব্যতিক্রম রং দেখা যায়। গবেষকদের মতে, দুই মিলিয়নে একটি নীল, ৩০ মিলিয়নে একটি হলুদ  ও একশ’ মিলিয়নের একটি আলবিনো হয়। জিনগত পরিবর্তণের কারণে কিছু কিছু লবস্টারের নিচের অংশের দু’পাশে দুই রকম রং হয়। প্রাণীর রং নির্বাচন ভ্রুণের কোষ বিভাজনের প্রথম থেকেই শুরু হয়। তাই একটি রঞ্জকের জিন একটি কোষে পৌঁছে ও অন্য রঞ্জকের জিন অন্য কোষে প্রভাব বিস্তার করে। যার ফলে দুটি অংশে দুটি রং দেখা দেয়। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া