adv
২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামায়াত নতুন করে নির্বাচন চায়

news_imgনিজস্ব প্রতিবেদক : ভোট কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, ভোট কারচুপি ও ভোট ডাকাতির মহা-উৎসবের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের নামে জনগণের সাথে সরকারের প্রহসনের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে এবং এ নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার এক বিবৃতির প্রদানের মাধ্যমে তিনি একথা জানান।

তিনি বিবৃতিতে জানান, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনকে হার মানিয়ে বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থার কবর রচনা করে সরকার এক কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরো জানান, সরকার সমর্থিত প্রার্থীগণ ২৭ এপ্রিল রাত থেকেই কেন্দ্র দখল করে সিল মারা শুরু করে। ২৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই প্রায় সকল ভোট কেন্দ্র থেকে বিরোধী দল সমর্থিত পোলিং এজেণ্টদের বের করে দিয়ে নিজ দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রদান করে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অনেক ভোটার নিজেদের ভোট পর্যন্ত দিতে পারেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। ২৭ এপ্রিল রাত থেকে নির্বাচন চলাকালে বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থীদের এজেণ্টসহ দুইশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মহিলা এজেণ্টরাও গ্রেফতারের হাত থেকে রেহাই পায়নি। নির্বাচন কমিশন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য নির্বাচনের নামে জনগণের সাথে এক মহা-প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করেছে।

আমরা পূর্বেই আশঙ্কা করেছিলাম সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের দ্বারা কিছুতেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমরা বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে তিনটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেও সরকারের চাপে তা বাতিল করেছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন তাদের দূরভিসন্ধি বাস্তবায়নে যে জঘন্য ভূমিকা পালন করল তা নজিরবিহীন।

এ নির্বাচনে প্রমাণিত হল, এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ সরকারের হাতে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র কোনটাই নিরাপদ নয়। তিন সিটি করপোরেশনের জনগণ তথা বাংলাদেশের আপামর জনতা এ কলঙ্কজনক নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।

জনগণের ন্যায্য ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। তাই ভোট ডাকাত, জালেম, ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তিনি।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া