‘মন্ত্রী থাকাকালীন সত্য প্রকাশ করলেন না কেন’
নিজেস্ব প্রতিবেদক: কে খন্দকার অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মানুষ। বই লেখার আগে তিনি সরকারের কাছ থেকে সব ধরনের সুবিধা গ্রহণ করেছেন। বই লেখার আগে তিনি সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন। যদি সত্য প্রকাশ করতেই হত তাহলে মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তিন এই বই লিখলেন না কেন? ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিতর্কিত ইতিহাস তুলে ধরে বইটি রচনা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ।
আজ রাজধানীর সেগুন বাগিচায় খাজা নিজাম উদ্দিন মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু একাডেমি’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, সংবিধান সংশোধন নিয়ে ড. কামাল হোসেনের প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই। তিনি যে ক্যাটাগরিতে সংবিধান রচনা করেছিলেন বর্তমানে আমরাও সেই ক্যাটাগরিতে সংবিধান রচনা করছি। আওয়ামী লীগ সব সময় ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতে চায়। তারই অংশ হিসেবে আমরা কয়েকটি ধাপ পার করেছি এবং আগামীতে ধীরে ধীরে বাকি ধাপগুলো পার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, অতীতে মাত্র ৩ জন বিচারপতির হাতে বিচারক অভিশংসন করা ক্ষমতা ছিল। কিন্তু সংবিধান সংশোধীত হলে বিচারপতির অভিশংসন ক্ষমতা আর ৩ বিচারপতির হাতে থাকবে না। কোন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে অভিশংসনের বিষয়ে প্রথমে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সংসদে রিপোর্ট পেশ করা হবে। পরবর্তীতে সংসদে বিতর্কের মাধ্যমে দুই-তৃতীয়াংশ মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
কবির মিজির সভাপতিত্বে আর উপস্থিত ছিলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামছুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হারুণ চৌধুরী প্রমুখ।