adv
২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তোফায়েলকে খোকা- খালেদার পা ছুঁয়ে সালাম করুন


নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পা ছুঁয়ে সালাম করতে বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা।
তোফায়েলের উদ্দেশ্যে খোকা বলেন, শেখ হাসিনা আপনাকে বিশ্বাস করেন না। সে জানে আপনি যেকোনো সময় তাকে ধাক্কা দিতে পারেন। তাই খালেদা জিয়া যদি আন্দোলন না করতেন তাহলে আপনি, আমির হোসেন আমু ও মোহাম্মদ নাসিমরা কখনোই মন্ত্রী হতে পারতেন না। তাই মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেয়ায় খালেদা জিয়ার পা ছুঁয়ে সালাম করুন।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ঢাকা মহানগরের ৬ষ্ঠ সম্মেলন ও জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমানকে নিয়ে সংসদে তোফায়েল আহমেদের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে খোকা বলেন, তোফায়েল তিন ফাল দিয়ে লাফিয়ে উঠেন। তিনি নাকি এতই মতাধর ছিলেন জিয়াউর রহমান তাকে ‘স্যার’ ‘স্যার’ বলতে বলতে অস্থির হয়ে যেতেন। তাহলে ৩২ নম্বরে যখন শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হয়ে পড়েছিলেন, তখন আপনি  (তোফায়েল) কোথায় ছিলেন?
তোফায়েলের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি রীবাহিনীর পরিচলকের দায়িত্বে ছিলেন। দুষ্টু লোকেরা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আপনার সম্পৃক্ততা ছিল। এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য তারেক রহমানের বক্তব্য খণ্ডন করতে না পেরে যাচ্ছে তাই বলছেন।
তিনি আবারো জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও প্রথম ঘোষিত রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে বলেন,  জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও প্রথম ঘোষিত রাষ্ট্রপতি। সেটা একদিন হোক বা এক ঘণ্টার জন্য হোক। এটাই ইতিহাসের উপাদান। শেখ মুজিবুর রহমানের ২৬ মার্চের ভাষনকে স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবে সংবিধানে সংযোজন করলেই হবে না, জাতির ক্রান্তিকালে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সে সময় তিনি দেশী-বিদেশীদের কাছে সাহায্য ও অস্ত্র চেয়েছিলেন।
তিনি তোফায়েলের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, ড. কামাল হোসেন যখন গণফোরাম গঠন করেন তখন তিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাউকে খুঁজে পাননি। তখন ওই দলের নেতা মোস্তাফা মহসিন মন্টু আমাকে বলেছিলেন, সাধারণ সম্পাদক আসছেন, তিনি তোফায়েল আহমেদ।
খোকা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে কথা বলবেন আর আমরা চুপ করে বসে থাকবো তা হবে না। শেখ হাসিনাকে তোষামোদ করতে চাইলে করতে পারেন। তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ খুলে দেন, অন্যথায় যে নির্মম পরিণতি হবে তা আমরা চাই না।
দলের অপর ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমন বলেন, তারেক রহমান ইতিহাসের বাইরে কোনো কথা বলেননি। তিনি বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে কথা বলেছেন। এতে সরকারের আঁতে ঘা লেগেছে। তারেক রহমান যে এন্টিবায়োটিক দিয়েছে তাতে শেখ হাসিনাসহ সবার মাথা খারাপ হয়ে গেছে তাই তারা আবোল তাবোল কথা বলছেন।
শেখ মুজিব, তার পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতারা নীতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধে ছিলেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া